বিচিত্র দুনিয়া

ধর্ষণ করাটাই উৎসব !

ভালুকা নিউজ;অনলাইন ডেস্ক: বর্বরোচিত আদিম প্রথাগুলোর একটি তাহাররুশ উৎসব। মধ্যপ্রাচ্যে এটি খুব প্রচলিত। তাহাররুশ উৎসবের মূল্য লক্ষ্য, প্রকাশ্যে মহিলাদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা। মধ্যপ্রাচ্যে অন্তত হাজারের বেশি নারী আছেন যারা নানা সময়ে তাহাররুশ চলাকালে নিগৃহীত হয়েছেন।  ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিশরে চলছে এই নারকীয় উৎসব। এই খেলার সব খেলোয়াড়ই পুরুষ। এ খেলার সময় তারা সমকেন্দ্রিক তিনটি মানববৃত্ত তৈরি করে। বৃত্ত তিনটির কেন্দ্রে এনে ফেলা হয় এক বা একাধিক পথচারী নারীকে। প্রথম বৃত্তটিতে দাঁড়ানো পুরুষদের লক্ষ্য হয় একেবারে কেন্দ্রে থাকা মহিলাদের কাছে পৌঁছনো এবং তাকে লাঞ্ছিত করা।দ্বিতীয় বৃত্তে দাঁড়ানো পুরুষরা চেষ্টা করে প্রথম বৃত্তে থাকা খেলোয়া়ড়দের সরিয়ে তাদের জায়গা নিতে। এর ফলে প্রবল ঠেলাঠেলির সৃষ্টি হয়। আর তৃতীয় বৃত্তে থাকা খেলোয়াড়দের কাজ হল, ভিতরে ঘটে চলা সমস্ত ঘটনাকে পথচারীদের চোখ থেকে আড়াল করে রাখা। পুরো ঘটনাই ঘটে ভিড়ের মধ্যে। নিগ্রহকারীদের সংখ্যা অজস্র। ফলে লাঞ্ছনাকারীদের চিহ্নিতও করা যায় না। শাস্তি তো দূরের কথা।

এ খেলার খবর বহুকাল মিশর আর মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে গিয়েছিল। আমেরিকান সাংবাদিক লারা লোগান মিশরের তাহরির স্কোয়ারে তাহাররুশে নিগৃহীত হওয়ার পর বিষয়টি সবার প্রকাশ্যে আসে। তাহরির স্কোয়ারে উন্মত্ত জনগণ ঘিরে ধরেছিল লারাকে। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে অত্যাচার চলে লারার উপর। চলতি বছরের শুরুর দিকে তাহাররুশের মতো ঘটনা লক্ষ করা যায় জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও। উন্মত্ত জনগণের হাতে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত হন ইউরোপের অনেক নারী। সংশ্লিষ্ট দেশের প্রশাসন জানায়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত উদ্বাস্তুরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এরপরেই এই বীভৎস খেলা সম্পর্কে জানতে পারে বিশ্ববাসী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button