বরিশালকে হারিয়ে প্রথম ম্যাচেই শক্তিমত্তার জানান দিল ঢাকা
ক্রিড়া প্রতিবেদক: বিপিএলের চতুর্থ আসরে শক্তিশালী দল গড়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। সেই শক্তিমত্তার জানান দিল প্রথম ম্যাচেই। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে সাকিব আল হাসানের দল। ভালো খেলার ফলও পেয়েছে তারা। উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকুর রহীমের বরিশাল বুলসকে সহজেই হারালো ঢাকা। সাকিবের দল জয় পেয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করেছে মুশফিকুর রহীমের বরিশাল। জবাবে ২৪ বল হাতে রেখেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছে ঢাকা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ঢাকার জয়ের ভিত গড়ে দেন কুমার সাঙ্গাকারা ও মেহেদী মারুফ। এই দুই ব্যাটসম্যান দলের স্কোরশিটে যোগ করেন ৮৮ রান। ঢাকার এই জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই তারকা স্পিনার এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাঙ্গাকারাকে। ২৪ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৩০ রান করেন লঙ্কান কিংবদন্তী।
তিনে ব্যাট করতে নামা সাকিব আল হাসান সাজঘরে ফিরেছেন মনির হোসেনের শিকার হয়ে। ২৩ বলে দুটি চারের মারে ঢাকার অধিনায়ক করেছেন ২০ রান। মেহেদী মারুফ দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪৫ বলে পাঁচটি করে চার ও ছক্কায় ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। বরিশালের পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন মনির হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।
এর আগে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও শাহরিয়ার নাফিসের অর্ধশতকে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১৪৮ রান করে বরিশাল বুলস। সূচনাটা ভালো ছিল না বরিশালের, ৬ রানে ওপেনার শামসুর রহমানের বিদায়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। মো. শহীদের বলে স্লিপে তার ক্যাচটি লুফে নেন মেহেদী মারুফ। এরপর ঢাকা ডায়নামাইটসকে উজ্জীবিত করার মতো একটি ক্যাচ নেন নাসির হোসেন। ডোয়াইন ব্রাভোর বলে স্কয়ার ড্রাইভ করেছিলেন দিলশান মুনাবিরা, বামদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাম হাতে বল তালুবন্দী করেন নাসির। ১৫ বলে ১২ রান ছিল শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানটির সংগ্রহ।
এরপর ইংরেজ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানের শুরুটা ছিল সাবলীল। তাকে সাজ ঘরের পথ ধরান সাকিব আল হাসান, মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে তিনি বল জমা দেন ডোয়াইন ব্রাভোর হাতে। মালানের ১৫ বলে ১৬ রানের ইনিংস শেষ হয় এখানেই।
দলের এমন বিপদে হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও শাহরিয়ার নাফিস। মুশফিক দেখেশুনে খেলতে থাকেন আর ঢাকার বোলারদের ওপর চড়াও হন নাফিস। চতুর্থ উইকেটে এই জুটিতে ৮২ রান করার পর মো. শহীদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন নাফিস। হাঁটু গেড়ে মারতে গিয়ে তিনি বল টেনে আনেন উইকেটে। বিদায়ের সময় ৩৪ বলে ২টি ছয় ও সাতটি বাউন্ডারির মারে ৫৪ রান করেন সাবেক বাংলাদেশ ওপেনার।
তার বিদায়ের পরে দুই বিদেশি খেলোয়াড় শ্রীলঙ্কান থিসারা পেরেরা ও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান রায়ান এমরিট ৩ ও ১ রানে বিদায় নিলে বড় সংগ্রহের আশা গুড়িয়ে যায় বরিশাল বুলসের। মুশফিকুর রহিম শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন, ইনিংসের শেষ বলে তিনি পূর্ণ করেন তার অর্ধশতক। ৩৬ বলে দুটি ছক্কা ও চারটি চারে অলঙ্কৃত ছিল তার ইনিংসটি।