ভালুকায় প্রেমিক যুগল বিবাহ করে আদালতে
সর্বশেষ আপডেট: —————————————————————————————————
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভালুকায় দুই পরিবার মেনে না নেয়ায় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে এখন আদালতের হেফাজতে আছে প্রেমিক যুগল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া মাস্টার বাড়ী এলাকায়।
জানা যায়, উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামের আব্দুল মালেক ঢালীর ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৫) ঢালীর সাথে একই এলাকার খোকা মিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আহলাম আক্তার (১৯) ৮ নভেন্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেয়ে রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা খোকা মিয়া বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই দিনই প্রতিবেশি হারুন অর রশিদের ছেলে আক্তার হোসেনকে (২৫) আটক করে ৫৫ ঘন্টা থানা হাজতে রাখার পর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই রাতেই পুলিশ খাইরুলকে না পেয়ে তাদের ঘরের দরজা ভেঙে তার মা রাশিদাকে (৫৫) আটক করে নিয়ে যান। পরে আটককৃত রাশিদাকে ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল হাসেম ঢালীর ছেলে মনিরের জিম্মায় ছেড়ে দেন।
এর পরের দিন শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকালে জামিরদিয়া স্কয়ার মাস্টারবাড়ীস্থ আর এস টাওয়ারে দুই পরিবারের সদস্য, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিন মাস্টার, নবনির্বাচিত হবিরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, হাজী সালাউদ্দিন সরকার, হাজী আব্দুর রাজ্জাক ঢালী, রিয়াজ উদ্দিন, আবুল হাসেম ঢালী, আব্দুর রাশিদ ঢালী, আব্দুর রহিম ঢালী, হাজী আঃ রউফ, মেয়ের বাবা খোকা মিয়া ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রেমিক যুগল স্বামী-স্ত্রীকে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদের হাতে বিবাহের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তুলে দেন। এ সময় প্রেমিক যুগল উপস্থিত সবার সামনে তাদের প্রাপ্ত বয়স ও দু’জনের সম্মতিক্রমে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলে জানান। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক থাকায় তারা স্ব-ইচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন, তাদের পরিবারের অন্য কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলেও তারা জানান।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে সেহেতু আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছেলে মেয়ের কোন প্রকার ক্ষতি হবেনা এবং এর জন্য অযথা কাউকে হয়রানীর শিকার হতে হবেনা। আটককৃতদের শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।