ভালুকার কলেজ ছাত্রের লাশ গাজীপুর থেকে উদ্ধার

বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকার কলেজ ছাত্র আজহারুল ইসলামের (২০) গলাকাটা লাশ গাজীপুরের জয়দেবপুর বাগেরবাজার কাজী হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে গাজীপুর হোতাপাড়া হাইওয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে চারজনকে আসামী করে শনিবার জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা নং (৬৯) দায়ের করেন। পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত চার আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলা সাতেঙ্গা গ্রামের মোঃ শহিদুল্যাহ খানের বড় ছেলে ভালুকা-ত্রিশাল মৈত্রি কলেজে বিএ পড়ূয়া ছাত্র আজাহারুল ইসলাম (২০) প্রতিবেশি মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মুস্তাকিন ওরফে শাকিবকে সাথে নিয়ে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার বানিয়ারচালা গ্রামের তাজউদ্দিন আহমেদের বাড়ি ভাড়ায় থেকে স্থানীয় গার্মেন্টে চাকরী করছিল। ১০ নভেম্বর আজাহার ও শাকিব গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসে এবং পরদিন শুক্রবার উভয়ে একসাথে কর্মস্থলে ফিরে যায়। রাতে ওই বাসায় উভয়ে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে। রাত ১ টার সময় পাশের রুমের ভাড়াটিয়া সুমিত চন্ত্র (২৮) প্রকতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে আজাহারদের রুমে ঘুঙড়ানো শব্দ পান এবং দরজা খোলা দেখে এগিয়ে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় আজহারকে দেখলে পেয়ে ডাকা-ডাকি শুরু করলে আশ পাশের লোকজন এসে তাকে স্থানীয় বাগের বাজার কাজী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার আজহারকে মৃত ঘোষণা করেণ। খবর পেয়ে গাজীপুর হোতাপাড়া হাইওয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা শহিদুল্যাহ খান বাদি হয়ে নিহতের রুমমেট মুস্তকিন ওরফে শাকিব (২১), পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মেহেদী হাসান রনি (২২), মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২৬) ও আছাকুল আলমকে (২৩) আসামী করে শনিবার জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা (৬৯) দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত আসামী মুস্তকিন ওরফে শাকিব (২১), পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মেহেদী হাসান রনি (২২), ও আছাকুল আলমকে (২৩) গ্রেফতার করে রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেন। মামলার এক নম্বর এজাহারভূক্ত আসামী মোঃ দেলোয়ার হোসনে (২৬) পলাতক রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়দেবপুর হোতাপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, এফআইআরভূক্ত চারজনের মাঝে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এক নম্বর আসামী দেলোয়ারকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। সোমবার আদালতের কাছে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।