দর্শনীয় স্থান

সূর্যোদয়ের অপরূপ দৃশ্য দেখতে নেপালে ভিড় জমান পর্যটকরা

ভালুকা নিউজ ডট কম; বিশেষ প্রতিবেদক: প্রতিদিনের মতো ভোরে সূর্য উঠবে। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। অথচ সূর্যোদয়ের সে দৃশ্য দেখার জন্য মানুষের সে কি কৌতূহল, সে কি হুড়োহুড়ি। সূর্য ওঠার সে দৃশ্য দেখার আয়োজনেরও কোনো কমতি নেই। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে ভোরের অপরূপ সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখার জন্য বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ ভিড় করছে নেপালের সারাংকোট এলাকায়।

ভোর চারটা থেকে সকাল ছয়টা। সূর্য উঠতে এখনো বাকি। রাতের বাতি নেভেনি এখনো। তারার মতো করে টিম টিম করে জ্বলছে বাতিগুলো। এর মধ্যেই কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমতে শুরু করেছে নেপালের সারাংকোট পাহাড়ি এলাকাগুলোতে। সোয়া ছয়টার দিকে পূর্বাকাশে অন্ধকার ভেদ করে লাল আভা ছড়িয়ে উঠছে সূর্য। মুহূর্তের মধ্যে অপরূপ রঙে রঙিন হয়ে উঠছে পর্বত অন্নপূর্ণার শীর্ষ কৃঙ্গ।

সারংকোট এলাকাটি পোখরা’র পাহাড়ের চূড়ায় থাকা একটি ছোট গ্রাম। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬’শ মিটার উচ্চতার এ গ্রামে গেলে খুব কাছ থেকে দেখা যায় হিমালয় পর্বতমালার ৮ হাজার ৯১ মিটার উচ্চতার অন্নপূর্ণা রেঞ্জ। সে সাথে চোখ এড়ায় না ৮ হাজার ১’শ ৬৭ মিটার উচ্চতার ধাওলাগিরি এবং ৮ হাজার ১’শ ৬৩ মিটার উচ্চতার মানসালু রেঞ্জ।

সকাল সাড়ে ছয়টার মধ্যে শেষ হয় সূর্য ওঠার কয়েক মিনিটের সেই কাক্সিক্ষত দৃশ্য। আর সূর্যোদয়ের এ দৃশ্য দেখার জন্য সারংকোট পাহাড়ে ইউরোপ-আমেরিকার মতো বাংলাদেশী পর্যটকেরও অভাব নেই।

নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু থেকে প্রায় ২’শ কিলোমিটার দূরে নেপালের রাণী হিসেবে পরিচিত এ পোখরা। আর পোখরার যে কোনো স্থান থেকে ৪০ মিনিটের যাত্রা সারাংকোটের।

প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি হিমালয় কন্যা নেপাল। সূর্য পূর্ব দিকে উঠলে তার আলো এসে পড়ে পশ্চিমের এ পাহাড়গুলিতে। তখন পুরো অঞ্চল এক স্বর্গীয় রূপ ধারণ করে। আর এ দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত পর্যটক ভিড় করেন এ অঞ্চলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button