বিচিত্র দুনিয়া

চীনা ওবামার কি হবে?

অনলাইন ডেস্ক: চীনারা দ্রুত বিভিন্ন জিনিসের নকল করার জন্য বিখ্যাত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামারও নকল পাওয়া যাচ্ছে চীনে! বারাক ওবামার মতো দেখতে সেই চীনা ভদ্রলোক ওবামার অভিনয় করে মাসে এক লাখ ইউয়ান কামিয়ে আসছিল বলে জানা যায়। কিন্তু আগামী জানুয়ারিতে বারাক ওবামা সাবেক হয়ে যাচ্ছেন। তাহলে কি করবেন এই চীনা ভদ্রলোক?

মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুবহু চেহারার মত চীনা ব্যক্তিটির নাম জিয়াও জিগু। ত্রিশ বছর বয়সী এই চীনা অভিনেতা চীনে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন।

প্রায় এক দশক আগে চীনের সিচুয়ান প্রদেশ থেকে গুয়াংডং এ আসেন জিয়াও। পেট চালানোর তাগিদে নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করতে হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হলে তার ভাগ্য পরিবর্তন শুরু হয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের অম্লমধুর সম্পর্ক তার ক্যারিয়ারেও উত্থান-পতন নিয়ে এসেছে। যখনই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা থাকতো তখন টিভি-মিডিয়াতে তাকে নিতে নিরুৎসাহিত বোধ করতো কর্তা ব্যক্তিরা।

তবে বারাক ওবামা সাবেক হয়ে গেলে চীনা ওবামার অভিনেতা হিসেবে ক্যারিয়ার চাঙ্গা হওয়ার সুযোগ আছে।

চীনা ওবামা জিয়াও ছোটবেলায় গায়ক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ঘটনাটি তার জীবনও পাল্টে দিয়েছে। রাজনীতি বা আন্তর্জাতিক খবর নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ ছিলনা জিয়াওর। সবাই যখন তার দিকে বিশেষ দৃষ্টিতে তাকাতে শুরু করলো তখন তার বিষয়টা অনুধাবন হলো এই চেহারার মধ্যে কিছু আছে। টিভি-পত্রিকা মারফত ততদিনে বারাক ওবামার ছবি দেখে অনুভব করে ফেলেছেন তার চেহারার মূল্য!

ওবামার নকল শুরু করলেন জিয়াও। ওবামা যেভাবে কথা বলে, অঙ্গভঙ্গি করে তার নকল করে বেশ জনপ্রিয় হতে থাকেন তিনি। সমস্যা হলো তিনি ইংরেজি পারেন না কিন্তু অঙ্গভঙ্গি দিয়ে চালিয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন ইভেন্ট মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপনে ডাক পরতে শুরু করে চীনা ওবামার।

গতবছর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর থেকে তার চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী হয়। তখন থেকে প্রতিমাসে এক লাখ করে ইউয়ান কামাচ্ছেন চীনা ওবামা। বারাক ওবামা চলে গেলে নিজের অভিনয় ক্যারিয়ারে থিতু হবেন বলে চিন্তা জিয়াওয়ের। এজন্য বেইজিংয়ের একটি নাটকের স্কুলে পার্ট-টাইম পড়াশুনা করছেন ওবামা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button