ঢাকা: দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হলেও তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন,বিচারিক আদালতে সাজা হলে উচ্চ আদালতে তারা আপিল করবেন এবং এতে বিএনপি নেত্রীর সাজা স্থগিত হয়ে যাবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় মওদুদ এ কথা বলেন। ২০০৯ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি সে সময়ের বিডিআর সদরদপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের স্মরণে ২০ দলের শরিক লেবার পার্টি এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিডিআর বিদ্রোহ ছাড়াও মওদুদ কথা বলেন খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলা নিয়ে। জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেত্রীর মামলার শুনানি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এখন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষের শুনানি চলছে।
বিএনপির আশঙ্কা, এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে এবং তাতে তিনি আগামী নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা হতে পারেন। বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা হলে এই দেশে নির্বাচন হবে না।
তবে মওদুদ বলছেন অন্য কথা। তিনি বলেন,‘ধরে নিলাম মিথ্যা মামলায় একটি রায়ে তার (খালেদা জিয়া) সাজা হয়ে গেল। ভালো কথা, আমরা আপিল ফাইল করব। আপিলটা হলো কনটিনিউশন অব দা প্রসিডিংস। অর্থাৎ যে বিচার হয়েছে, এটা হলো সে বিচারের ধারাবাহিকতা। তখন আমরা তাঁর জন্য ইনশাআল্লাহ জামিন নেব। বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হলেও নির্বাচনে সরাসরি অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি তিনি দল ও জোটের নেতৃত্বও দিতে পারবেন।’
বিএনপি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান চায় বলে জানান মওদুদ। এটি সম্ভব না হলে আন্দোলনের বিকল্প থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের কারণে আওয়ামী লীগ সহজ জয় পেলেও আগামীতে আর এমনকি হবে না বলে জানান মওদুদ। বলেন, ‘আর কোনো এক দলীয় নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। সে ধরনের পরিকল্পনা কারও থাকলে তারা বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন আছেন। গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য বিএনপির আন্দোলনও চলবে নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলবে।’
লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।