ময়মনসিংহে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ৫

এইচ এম মোমিন তালুকদার, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও পাঁচজন। নিহতেরা হলেন বিজয়পুর গ্রামের শাহাদির ছেলে ময়েজ উদ্দিন (৪০) ও ইসমাইলের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৮)।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ভোরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, সাইফুল (২৪), রেজাউল (২৫), আরজু (২১), মজু (১৬) ও চান মিয়া (৩৫)। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার গাবতলী ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুলের নির্দেশে এমদাদুল নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে বাধা দেয় ময়েজ উদ্দিন। এ সময় ময়েজ পুলিশকে জিজ্ঞেস করে এমদাদের নামে কি কোন অভিযোগ বা মামলা আছে? উত্তরে পুলিশ না বলে। তবে কেন তাকে আটক করছেন জিজ্ঞেস করে ময়েজ। তখন পুলিশ বলে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুলের নির্দেশে আটক করা হয়। পরে এমদাদুলকে পুলিশ রেখে যায়।
এদিকে নিহত ময়েজের ছেলে মিরাজুল জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় এলাকার এমদাদুল নামে এক ছেলেকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিল। তখন বাবা তাকে ছাড়িয়ে রাখে। এ নিয়ে নজরুলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেহরীর সময় নজরুল ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় চালিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় ময়েজকে। এ সময় পাল্টা হামলা চালায় ময়েজের লোকজনও। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় নজরুল। আহত হয় ময়েজসহ ৬ জন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর ময়েজকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আক্তার মোর্শেদ জানান, রাতে সেহরীর পর দু’পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন নিহত ও ৫ জন আহত হয়। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।