জাতীয়

বিশ্বজিৎ হত্যা : ২ জনের ফাঁসি বহাল হাইকোর্টে

ঢাকা: পুরান ঢাকায় দরজি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় আট আসামির মধ্যে দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অপর দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুইজন আপিল করেছিলেন, তাঁরা খালাস পেয়েছেন। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া পলাতক ১১ আসামির ব্যাপারে আদালত কোনো মন্তব্য করেননি।

রোববার (৬ আগস্ট) বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে দীর্ঘ ১৫ কার্য দিবসব্যাপী শুনানি শেষে গত ১৭ জুলাই হাইকোর্ট রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করে দেয়।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সকালে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন পলাতক রয়েছেন। বাকি আটজন কারাগারে আছেন। আসামিদের সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন – রফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, রাশেদুজ্জামান, ইমদাদুল হক, কাইয়ুম মিয়া, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার (পলাতক) ও নূরে আলম (পলাতক)।

যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- এইচ এম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, খন্দকার ইউনুস আলী, মনিরুল হক, তারিক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম (২), কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। তাঁদের মধ্যে কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা ছাড়া বাকিরা পলাতক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button