আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক: রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতনের জেরে মিয়ানমারের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কাই আইনের আওতায় এ অবরোধ আরোপের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।স্থানীয় সময় সোমবার ওয়াশিংটন থেকে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সম্প্রতি যা ঘটেছে, বিশেষ করে রোহিঙ্গাসহ অন্য সম্প্রদায় যে সহিংস ও ভীতিকর দুর্দশার শিকার হয়েছে, তাতে আমরা গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, কেউ নৃশংসতার জন্য দায়ী থাকলে তাদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।আগামী মাসের শেষে আসিয়ানের এক সম্মেলনে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় তিনি মিয়ানমারসহ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে সফর করবেন। তার এই সফরের আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তরফ থেকে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা জানানো হলো।তবে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন খুব ধীর গতিতে সাড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।এর আগে রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্বর অভিযানের জন্য দেশটির জেনারেলদের দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘দারুণভাবে উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেবে কি না, সেই সময়ে তিনি তা স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেছিলেন, যা ঘটছে সেজন্য আমরা মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বকেই দায়ী করব।সেই সময়ে টিলারসন আরও বলেনছিলেন, রাখাইনে যেসব সহিংসতার খবর আসছে, বিশ্ব তা দেখেও চুপ করে থাকতে পারে না।মিয়ানমারে সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে নোবেলবিজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে সব সময়ই সমর্থন দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কটে সাড়া দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পশ্চিমা মিত্রদের কাছে এখন সমালোচিত হচ্ছেন সু চি।টিলারসন মনে করেন, মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের নিয়ে যে একটি সমস্যা আছে তা ওয়াশিংটন জানে। কিন্তু সেনাবাহিনীকে অবশ্যই সুশৃঙ্খল থাকতে হবে এবং সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে সংযমের পরিচয় দিতে হবে।উল্লেখ্য, গত ২৫ অগাস্ট থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেনা অভিযানে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের মত অপরাধের অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।এদিকে গেল সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের কারণে মিয়ানমারের সেনা প্রধানসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সব ধরনের আমন্ত্রণ স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। লুক্সেমবুর্গে জোটের সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলে এই প্রস্তাব পাস হয়। পাশাপাশি মিয়ানমারে সঙ্গে যেসব প্রতিরক্ষা চুক্তি ইউরোপের দেশগুলোর রয়েছে, তা পর্যালোচনার কথাও জানিয়েছে ইইউ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button