দিনাজপুরের রামসাগরে ২৪ কেজি ওজনের কাছিম!

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঐতিহাসিক রামসাগর দীঘিতে প্রায় সাড়ে ২৪ কেজি ওজনের এক দূর্লভ প্রজাতির কাছিম ধরা পড়েছে। জেলা প্রশাসনের আহ্বানে সৌখিন মাছ শিকারিরা বরশি ফেলে মাছ শিকারের সময় গত শনিবার সন্ধায় এই কাছিমটি আটকা পড়ে। মাছ ভেবে বরশি টানার পর দেখা যায় বিশাল আকৃতির এক কাছিম।
বন্যপ্রাণী আইনে কাছিম ধরা, আটক রাখা, বিপণন ইত্যাদি দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই বিশালাকার এই কাছিমটি পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে পালিয়ে যায় মাছ শিকারি।
রামসাগর জাতীয় উদ্যানের ন্যাশনাল পার্কের কিউরেটর এ.এ. আব্দুস সালাম তুহিন এ খবর পেয়ে বিরল প্রজাতির কাছিমটি উদ্ধারে উদ্যোগ নেন।
স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করেন এবং তরুণ মৎস্য শিকারির নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করেন। মৎস্য শিকারিকে কাছিমটি ফিরিয়ে দিতে বলেন।
কিন্তু মৎস্য শিকারি জানায়, কাছিম আর আমার কাছে নেই, বিক্রি হয়ে গেছে।
পরে উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কোতোয়ালী থানার ওসির নির্দেশে পুলিশের একটি টিম কাছিম উদ্ধারে অভিযান চালায়।
আউলিয়াপুরে মৎস্য শিকারি বাড়ি ঘেরাও করে জানা যায়, শহরের বড়বন্দর এলাকার এক হিন্দু মাছ ব্যবসায়ীর কাছে ১৬ হাজার ৬’শ টাকায় কাছিমটি বিক্রি করেছে। কাছিমটির ওজন ছিল ২৪.২ কেজি।
পরে পুলিশি তৎপরতার এক পর্যায়ে কাছিমটি উদ্ধার হয় এবং এনডিসি মাধ্যমে কাছিম ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। রামসাগর জাতীয় উদ্যানে কাছিমটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এনডিসি ও এসি ল্যান্ড সদর এর উপস্থিতিতে দীঘির জলে অবমুক্ত করা হয় কাছিমটি।
রামসাগর জাতীয় উদ্যানের ন্যাশনাল পার্কের কিউরেটর এ.এম.আব্দুস সালাম তুহিন জানায়, ‘যেহেতু একটি কাছিমের সন্ধান মিলেছে, সেহেতু আরো অনেক কাছিম আছে রাম সাগর দীঘির জলে। তারা নিয়মিত ডিমও দিয়ে থাকে। বাচ্ছাও ফোটায়। মুলতঃ কাছিম ডিম পাড়ে উঁচু স্থানে। হয়তো ডিম কেউ নিয়ে যায়। নয়তো শেয়াল কুকুর খেয়ে ফেলে। এ দিকে নজর রাখতে হবে। বিশাল আকৃতির ওই কাছিম উপমহাদেশে আর নেই বলে ধারনা করছে বিশেষজ্ঞরা।’