সারা দেশ

নবীগঞ্জ উপজেলার রিফাতপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বুড়া ঠাকুর গাছ তলা মন্দির সংলগ্ন স্থানে উচ্ছেদকৃত স্থাপনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ

 

উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের রিফাতপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী বুড়া ঠাকুর গাছ তলায় দেবস্থলী নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় হিন্দু জনসাধারণ নিত্য পূজা-পার্বণসহ বাৎসরিক কীর্ত্তণ মহোৎসব উদযাপন করে আসছে। কিন্তু বিগত ২০১৬ সালে পাশ্ববর্ত্তী নাদামপুর গ্রামের আব্দুল জলিল গংরা গ্রামবাসীর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মন্দিরের পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে বসবাসের সুবাধে দেবস্থানের গাছের ঢাল কর্তন করে মন্দিরের ভিতরে মলমুত্র ফেলে অপবিত্র করে ধর্মীয় কাজের বিঘœ ঘটায়। শুধু এতেই ান্ত হয়নি সেখানে দেশীয় মদ,গাজা বিক্রি করে এলাকার যুবকদের বিপথগামী করে। গ্রামবাসী এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বললেও তারা এতে কর্নপাত না করে সেখানে স্থায়ীভাবে পাকা ঘর নির্মান করে। এতে করে ধর্মীয় কাজে বিপত্তি সৃষ্টি করায় রিপাতপুর গ্রামের হিন্দু-মুসলমান লোকজন মিলে গত ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন প্রেরন করেন। হবিগঞ্জ রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর বিষয়টি আমলে নিয়ে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানান। তদন্তের পরিপ্রেেিত গত ১৭ অক্টোবর সকালে হবিগঞ্জ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুয়েল সাংমার নেতৃত্বে স্থানীয় ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার,ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ও নবীগ্ঞ্জ থানা পুৃলিশের সহযোগীতায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। গতকাল শুক্রবার বিকালে রিপাতপুর বুড়া ঠাকুর তলা মন্দির ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদস্থল পরিদর্শন করেন নবীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিখিল আচার্য, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র রায়,সহসভাপতি কালীপদ ভট্টাচার্য, সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের অর্থ সম্পাদক প্রমথ চক্রবর্তী বেনু, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা, উপজেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি এডভোকেট রাজিব কুমার দে তাপস, মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র চন্দ্র দাশ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মতি লাল দাশ, নীলকণ্ঠ দাশ সামন্ত নন্টী,পিন্টু রায়,শুভাশীষ চক্রবর্ত্তী, শিক নিরুপম দেব, রবীন্দ্র চন্দ্র পাল িিতশ সরকার, নরেশ নাথ, কিরণ দাশ, অভিজিৎ পাল, কাজল পাল, শিক প্রদীপ কুমার দাশ, গোনেন্দ্র দাশ, জিতেন্দ্র দেব নাথ, বিষ্ণু সরকার, শিক সুজিত দাশ,লিপ্টু সরকার, ভক্ত সরকার, রাহুল দাশ, নিত্যানন্দ দাশ, রিন্টু নাথ, জ্যোতিষ পাল, শ্রীবাস দেবনাথ, সুমন পাল, দিপক চন্দ্র পাল প্রমূখ। নেতৃবৃন্দ এ সময় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে উক্ত মন্দিরে ধর্মীয় উৎসবাদি পালনে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button