ঢাকাবিভাগীয় খবরসারা দেশ

শ্রীপুরে চুরির অভিযোগে দুই শ্রমিককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন

এফ এম আমান উল্লাহ আমান, গাজীপুর প্রতিনিধি ঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে চুরির অভিযোগে দুই শ্রমিককে জানালার গ্রিলের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্যালী ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামক কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের বেঁধে নির্যাতন করেছে বলে জানিয়েছে ওই দুই যুবক। পরে সাড়ে দশটার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

নির্যাতনের শিকার দুজন হলেন শাহিন আলাম(২৩) পিরুজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বলেশ্বর গ্রামের খলিলের ছেলে ও রাসু(২৫) খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার গিলাতালি গ্রামের খোকনের ছেলে। তারা দুজনই স্থানীয় এক বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই কারখানায় দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কাজ করতেন।

নির্যাতিত দুই যুবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালে তাদের ঘুম থেকে ডেকে কারখানায় এনে গত রাতে কারখানায় সংগঠিত চুরির সাথে তারা জড়িত অভিযোগে তাদের নির্যাতন করা হয়। প্রথমে হাত পা বেঁধে প্রহার কার হয়েছে। পরে পায়ের বাঁধন খোলে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় সাদা কাগজে “চোর” লিখে গলায় ঝুলিয়ে কারখানার ভেতরে ঘুরানো হয়। সর্বশেষ কারখানার মূল ফটকের পাশের একটি করে জানালার সাথে দুজনকে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দ্ইুজনকে ছেড়ে দেয় তারা।

প্রত্যদর্শী আলামীন জানান, সকালে কারখানার সামনে এসে দ্ইু কর্মীকে জানালার সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখেন তিনি। এ সময় কারখানার সামনে আরও অনেক লোক জড়ো হয়েছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্যাতনের শিকার দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় মুজিবর রহমান জানান, চুরি করার কারনে কারখানার সামনে দুই যুবককে আটক করে কারখান কর্তৃপক্ষ নির্যাতন করছে এমন খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌছেন। এ সময় গণমাধ্যমের কয়েকজন ও স্থানীয়রা উপস্থিত হলে তাকে ছেড়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কারখানার দুভাষী নূর মোহাম্মদ শিপন জানান, ওই দুজন চুরি করেছে তাই কারখানার অন্যদের সচেতন করতে তাদের হাত বেঁধে ঘুরানো হয়েছে। তাদের তেমন মারধর করা হয়নি।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) নাজমূল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে কারখানায় চুরি করার কারনে দুইজনকে বেঁধে উত্তম-মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। এ বিষয়ে কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button