
অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলেও ‘শর্ত পূরণ’ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেছেন, ‘এই সরকারের অধীনে সব সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছে। আসন্ন সিটি নির্বাচনেও অংশ নেবে। তাই বলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ সরকারের অধীনে বিএনপি অংশ নেবে, তা হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এখনও এই শর্তেই বিএনপি অংশ নেওয়ার দাবির মধ্যে আছে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স কক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।
২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ভাসানী) উদ্যোগে আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী ও সংগঠনের প্রয়াত সহসভাপতি অধ্যাপক এম এ জাব্বারের স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি মনে করে তারা খুব জনপ্রিয় তাহলে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তাহলে সরকার কেন নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চায় না। একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। কিন্তু এই ব্যবস্থা করবে না। কারণ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে।’
তিনি বলেন, ‘গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হেরেছিলেন। এই হেরে যাওয়াটা তারা সহজে মেনে নিতে পারেনি। এজন্য নির্বাচিত মেয়রদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে দূরে রেখেছে এই সরকার।’
মওদুদ বলেন, ‘সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হতে পারে না, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনের ৯০ দিন আগে অবশ্যই সংসদ ভেঙে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে যা বলে কাজ করে তার উল্টো। সব কিছুর শেষ কথা সরকারকে সমঝোতার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট দূর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি জহিরউদ্দিন স্বপন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, ন্যাপ-ভাসানীর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা আখন্দ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শওকত আমিন প্রমুখ।