উপ-সম্পাদকীয়

ধুলির রাজ্যে অসহায় মানুষ -সফিউল্লাহ আনসারী

দেশ জুড়ে ধুলির রাজ্যে অসহায় মানুষ। ধুলি ধুসরিত শহর,নগর,গ্রাম এমনকি মেঠোপথ শুধু কি ঢাকার সৌন্দর্য ধুলির আস্তরণে ঢেকে যাচ্ছে ? না। সারাদেশে বেহাল পাঁকা-কাঁচা সড়কে উড়ছে ধুলি আর বালি। ধুলো-বালিতে বাড়ছে অসুখ। স্কুলগামী ুদে শিার্থীরা প্রায়ই স্কুলে অনুপস্থিত, কারন ঠান্ডা-জ্বর। নামক-মুখে মাস্ক লাগিয়েও রে নেই । বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের যন্ত্রনা এই ধুলিতে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ,শিশু এবং বৃদ্ধরা।

কেউ কেউ এই অসহায়ত্বকে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেন। এটা ঠিক না। কারন এই দুভোর্গ মনুষ্য সৃষ্ট এতে কোন সন্দেহ নেই। বর্ষাতে জল-কাঁদার সংসার আর শুকনো মৌসুমে নগরবাসীর দুভোর্গ মানেই ধুলিময় অসহ্য অবস্থা। দেশ জুড়ে শিল্পায়নের অজুহাতে সংখ্যা বর্হিভূত ড্রাম ট্রাকের স্বৈরাচারি উলঙ্গ ছুটে চলা, অসংখ্য পণ্যবাহি ট্রাক, কর্ভাড ভ্যানের চলাচল যেনো ধুলিময়তার স্বর্গ রাজ্য ! কে শোনে কার কথা । কথায় বলে না, কার ক্ষতি কে করে ধুলায় অন্ধকার !
বাংলাদেশের সংবিধানে পরিবেশ সম্মত দেশ গড়ার অঙ্গীকার বিদ্যমান । দেশের জনগনের কল্যানেই এ দেশের রাষ্ট্রযন্ত্র নিবেদিত থাকার কথা। অথচ জনগনের ভাগ্যে দুর্ভোগ যেনো নিত্য সাথী।জনগনের কল্যানের জন্য পরিবেশে সুরার বিষয়টি গুরুত্ব থাকলেও ঢাকাবাসীসহ সারা দেশের পাবলিকের ভাগ্য খারাপই বলতে হয়। অনিয়ন্ত্রিত গাড়ী, পরিমানে অতিরিক্ত যানবাহন, কোন নিয়ম ছাড়াই মাটি, বালি, ময়লার গাড়ী ছুটছে দ্রুত গতিতে। বেপরোয়া গাড়ীর সাথেই উড়ছে বাতাসে ধুলির ঝড়। নগরবাসীরা সয়ে যাচ্ছেন অনিচ্ছাকৃতভাবে । কারন তাদের নগর পিতারা কিছু করবেন। কিছু একটা করবেন পরিবেশ অধীদপ্তর । কই? আশার গুরে বালি।
রাস্তায় চলাচলরত গাড়ীর চাপে বালি, ইটের সুরকিসহ নির্মান সামগ্রী রাখার কারনে আশে পাশের গাছ-পালা, জানালা দিয়ে বসবাসের ঘরে ঢুকে নষ্ট করছে প্রয়োজনীয় ও সখের জিনিসপত্র। ধুলোময় অবস্থা নষ্ট করছে সুস্থ পরিবেশ । সাথে ঘরে বসবাসরত মানুষ শ্বাস-প্রসাশ জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।বাড়ছে ধুলিবাহিত ঠান্ডার প্রকোপ।সাথে
নির্মানাধীন ভবনের ধুলিকনা,ইটভাটা আর কারখানা থেকে নির্গত ধোয়ার সাথে ধুলি-বালি, থেকে ঢাকার বাতাসে সারানই উড়ছে ধুলিযুক্ত হাওয়ার তান্ডব। এসব উড়ন্ত ধুলি শুধু যে মানুষের জামা-কাপড় আর শরীরেই পড়ছে তা নয়,উড়ন্ত ধুলিকনা রাস্তাার পাশের হোটেলের খাবার, দোকানের জিনিসপত্র, সৌন্দর্য আর পরিবেশ রাকারী বৃও রেহাই পাচ্ছেনা।ুদ্র ুদ্র ধুলিকণা মানুষের ফুসফুসের ভেতর প্রবেশ করে জটিল-কঠিন রোগের সৃষ্টি করছে।
অতিরিক্ত ধুলির কারনে ঢাকাসহ সারাদেশে এজমা, এলার্জি এবং সাইনাস রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুতহারে। যা ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারন করছে।
ধুলিযুক্ত খোলা খাবার গ্রহনে বাড়ছে তৃনমুলে বসবাসরত মানুষের অসুস্থতা। বয়স্ক আর শিশু সন্তানদের অবস্থা আরো খারাপ। চিকিৎসকরা ব্যাবস্থাপত্রে সাথেই দিচ্ছেন সর্বন মুখোশ/মাস্ক ব্যাবহারের পরামর্শ।
সারাদেশের জনপ্রতিনিধি, সংশ্লীষ্ট কর্মকর্তা, নগর পিতাদের সার্বিক তত্বাবধানে জনস্বাস্থ্য রা ও নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার দায় পরিবেশ অধিদপ্তরের থাকলেও তা কার্যকর সুফল ঢাকাবাসী পাচ্ছে না। ধুলিময় নষ্ট পরিবেশ থেকে ঢাকাকে বাঁচাতে ডিসিসি, রাজউক এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঠিক পদপে গ্রহন করে জরুরী পদপে নেয়া উচিত।বায়ু দূষণ রোধে পরিবেশ অধিপ্তরের ভুমিকা অনেক। রাজধানী সহ সারাদেশের মানুষের আশা এবং দাবী বায়ু দুষন থেকে মুক্তি দিতে খুব তাড়াতাড়ি উদ্যোগী হবে পরিবেশ সংশ্লীষ্টরা।
দেশবাসী তথা নগরবাসীর সুস্থতা, নিরাপদ বাসযোগ্য পরিবেশ, স্বাস্থ্য রায় ধুলি ধুসরতা মুক্ত নগরী সময়ের যুক্তিযুক্ত দাবী। এ জন গুরুত্বর্পুন দাবী পুরন হওয়াও খুবই জরুরী মনে করছেন সচেতন মহলসহ সকল জনগনের আশা। পরিবেশ সম্মত দেশ ও সমাজ গড়ে উঠবে যা নাগরিক হিসেবে সাংবিধানিক অধীকার। এ অধীকার যেনো নগরবাসী দ্রুত পায় সেদিকে সংশ্লীষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

সফিউল্লাহ আনসারী
সাংবাদিক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button