শ্রীপুরে পল্লী চিকিৎসকসহ দু’কৃষকের বাড়ী ভাংচুর করছে বন বিভাগ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:শ্রীপুরে ৭০-৮০ বছর ধরে এস.এ ও সি.এস মূলে মালিক হয়ে বাড়ী ঘর নির্মান করে বসবাস করছেন পল্লী চিকিৎসক ও দু’কৃষক। ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার বরমী ইউনিয়নের তাতিসুতা গ্রামে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
বর্ষার কারণে বাড়ী ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় নতুন করে আধা পাকা টিন সেড ঘর নির্মান করে বসবাস কালে শ্রীপুর রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তা অর্ধশতাধীক লোক নিয়ে পল্লী চিকিৎসক ও দু’নিরহ কৃষকের বাড়ী ভাংচুর করেন। ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার বরমী ইউনিয়নের তাতিসুতা গ্রামে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বন বিভাগের লোকজন ভাংচুরের পর পল্লী চিকিৎসক হাজী আহাম্মদ আলীর পুত্র আমান উল্লাহ ও তার স্ত্রী জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ্য হয়ে যায়, মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র জামাল উদ্দিন বাড়ী ভাংচুরের পর সাংবাদিকদের দেখে হাও মাওই করে চিৎকার শুরু করেন। তিনি কান্না জড়িত অবস্থায় বলেন, ৭০-৮০ বছর ধরে বসত বাড়ী নির্মান করে বসবাস করে আসছি। অতিরিক্ত বর্ষার কারণে ঘর ভেঙ্গে যাওয়া কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে নতুন করে আধাপাকা বসত বাড়ী নির্মান করে বসবাস করছি।
স্থানীয় একটি দালাল চক্রের ইন্দুনে বন বিভাগের লোকজন বাড়ী গুলো ভেঙ্গে দিলেন ও একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র বিল্লাল হোসেনের বাড়ী ভাংচুরের পর অসুস্থ্য হয়।
বিল্লাল হোসেনের ভাতিজি সুমি আক্তার জানান, জমির কাগজপত্র বিট কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার পরও কোন কর্নপাত না করে লোকজন নিয়ে জ্যাঠার ঘরটি ভেঙ্গে দেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, ২/৩মাস ধরে বাড়ীর কাজ শুরু করলে বন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা খোজ খবর রাখেনা।
বাড়ীতে বসবাস থাকাকালীন সময়ে বন বিভাগের লোকজন তিনটি বাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় এলাকায় বর্তমান সরকারের প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছেন। বর্তমান ক্ষতিগ্রস্থ পল্লী চিকিৎসক ও দু’কৃষক উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা চান।
এ ব্যাপারে সদর বিট কর্মকর্তা আহাদ হোসেন জানান, বনের জায়গায় থাকার কারণে বাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে।
উল্লেখ যে, শ্রীপুর ফরেষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ২৫ হাজার একর বন ভুমির মধ্যে বেদখল হতে বর্তমানে ৫ হাজার একর আছে। তার মধ্যেও প্রতিদিনই কিছু না কিছু বেদখল হচ্ছে। অথচ ৭০ বছর যাবত যারা একই জায়াগাই স্থায়ী ভাবে বসবাস করে আসছেন তাদের ঘর বাড়ী ভংচুর করে দিলেন বন বিভাগ।