সারা দেশ

শ্রীপুরে পৃথক দু’মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকার গ্রেফতার -১

শ্রীপুর, (গাজীপুর) প্রতিনিধি ঃগাজীপুরের শ্রীপুরের কেওয়া উত্তর পাড়া হাফেজি মাদ্রাসা ও আবদার মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া নূরানী হাফেজি মাদ্রাসার দু’ শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাত বছর বয়সী পৃথক দু’ছাত্রকে পায়ুপথে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোক্তরা হলো কেওয়া উত্তর পাড়া হাফেজি মাদ্রাসার অভিযোক্ত শিক্ষক মোঃ অশিকুর রহমান পলাতক রয়েছে। আবদার মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া নূরানী হাফেজি মাদ্রাসার শিক্ষক ফোরকান উদ্দিন (২৪) কে পুলিম গেফতার করেছে। সে কুমিল্লা জেলার বরুরা থানার শরামতি গ্রামের শফিউল্লার ছেলে।

জানাযায়, ময়মনসিংহ জেলার ভাটি চন্নাপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে(৭) আবদার মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া নূরানী হাফেজি মাদ্রাসায় পরতো। মাদ্রাসার নূরানী শিক্ষক ফোরকান উদ্দিন ১৫ সেপ্টেম্বকর বিকেলে ওই মাদ্রাসার ছাত্র (৭) কে জোর পূর্বক পায়ুপথে ধর্ষণ করে। ঘটনা প্রকাশ পেলে বুধবার রাতে পুলিশ ওই শিক্ষক কে গ্রেফতার করে। ভিকটিম শিশুটি জানায় ওই শিক্ষ ইতিপূকের্ব আরো চার ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করেছে। এঘটনায় শিশুর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

এছাড়া অপর ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা ঘটে কেওয়া উত্তর পাড়া হাফেজি মাদ্রাসায়। কিশোরগঞ্জ জেলার সাহেবের চর এলাকার কামাল স্ব-স্ত্রীক ভাড়া বাসায় থেকে পোষাক কার খানায় চাকুরী করেন। শিশু পুত্র (৭) কেওয়া উত্তর পাড়া হাফেজি মাদ্রাসায় পরে।ওই ছাত্র জানায় শিক্ষক আশিক ইতি পূর্বে তার সাথে ৬/৭ বার ভয় দেখিয়ে পায়ু পথে যৌন কর্ম করেছে। শিশুটি ভয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করেনি। ঈদের আগেই মাদ্রাসার কতৃ পক্ষ অভিযোক্ত শিক্ষক আশিক কে চাকুরী চ্যুত্য করেন।
গত মঙ্গল বার বিকেলে ওই শিক্ষক শিশুটিকে ফুসলিয়ে পার্শবতী জঙ্গলে নিয়ে পায়ু পথে ধর্ষণ করে । শিশুটির চিৎকার শুনে আশ পাশের লোক এগিয়ে এলে আশিক পালিয়ে যায়। শিশু বাবা কামাল হোসেন বলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনার দিন রাতে তার স্ত্রীর হাতে দু’ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করে ঘটনাটি ধামা চাপার চে®টা করে। শিশুর শারিরীক অবস্তার অবনতি হলে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে শ্রীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্য রত ডাক্তার তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহাম্মদ মেডিকেল কলেজ হাস পাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে রাতেই শ্রীপুুর থানার এস.আই, বিনয় সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পান।
ছাত্রের বাবা জানায়, প্রভাব শালীদেরে ভয়ে মামলা করতে পারছেন না।
শ্রীপুর থানার ওসি অপারেশন হেলাল উদ্দিন জানান,দু’টি পৃথক ঘটনার একটি মামলা হয়েছে অন্যটির মামলা প্রকৃয়াধীন আছে। গ্রেফতার কৃত শিক্ষক ও ভিকটিমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button