সারা দেশ

নবীগঞ্জের দীঘলবাকে কলেজ প্রতিষ্টা’কে কেন্দ্র চরম উত্তেজনা ॥ প্রতিবাদে বিশাল সমাবেশ

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি; নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দীঘলবাক হাই স্কুলে একাদশ শ্রেণী খোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তোপ্ত হয়ে উঠেছে দীঘলবাকের জনপদ। ওই এলাকায় দীঘলবাক গ্রামবাসী একটি কলেজ প্রতিষ্টা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছেন। সকল প্রস্তুতি ও সম্পন্নের পথে। কিছু দিনের মধ্যেই ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এরই মধ্যে ওই এলাকার কতিপয় গোটা কয়েক ব্যক্তি গ্রামের লোকদের অন্ধকারে রেখে তাদের অগোচরে দীঘলবাক হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণী খোলঅর জন্য সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে এসে আগামী শিক্ষা বর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি ও ক্লাস শুরু করার খবরে গ্রামবাসী ফুসে উঠেন। এদিকে গ্রামবাসী দীঘলবাক হাইস্কুলে কলেজ অনুমোদন বাতিল এর দাবীতে এবং একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি বন্ধ করার দাবীতে গত ১৬ই ডিসেম্বর শনিবার সকালে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী শামসুল ইসলাম কৌছর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আনসার খান, শেখ নুরুল আমিন লেবু, আজিজুল হক শিবলি, সদ্য অবঃ প্রধান শিক্ষক নিজামুল ইসলাম, সিলেট শহরস্থ পানসি হোটেলের সত্ত্বাধিকারী আবু বকর সিতু, অধ্যাপক মোবাশি^র হোসেন, ডাঃ আবুল বশর, ডাঃ মুসলিম মিয়া, মুজিবুর রহমান, রুহেল মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ইয়াহিয়া, রুহেল খান, বশারত আলী খান, গোলাম কিবরিয়া, মতি মিয়া, মহসিন মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, আনা মিয়া, ছালেক খান, দেওয়ান মিয়া, মোনায়েম মিয়া, আজাদ মিয়া ও লিটন মিয়া প্রমূখ। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ অভিযোগ করেছেন, দীঘলবাক হাইস্কুলটি গ্রামবাসীর অর্থ ও শ্রমের মাধ্যমে প্রতিষ্টিত করা হয়েছে। শুরু থেকেই গ্রামবাসী স্কুলের রক্ষনাবেক্ষনসহ হেফাজত করে আসছে। অথচ কতিপয় কিছু লোক গ্রামবাসীকে ফাসঁ কাটিয়ে উক্ত স্কুলে কলেজ প্রতিষ্টা এবং একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির যে পায়তারা করছে তা গ্রামবাসী যে কোন মুল্যে প্রতিহত করবে বলেও হুশিয়ার উচ্চারণ করেছেন। ফলে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীঘলবাক গ্রামের চরম উত্তেজনা ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা করছেন এলাকাবাসী। তারা স্কুলের অবকাঠামো দুর্বলতা থাকায় এবং মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির স্বার্থে উক্ত স্কুলে কলেজ প্রতিষ্টার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অন্যতায় দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ জড়িতদের দায়ভার বহন করতে হবে বলেও দাবী জানান। অন্যতায় ঐক্যবদ্ধ গ্রামবাসী ব্যাপক কঠোর কর্মসুচী হাতে নেয়ার ঘোষনা দেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button