অর্থনীতি

নোপালে রানারের মোটরসাইকেলের রপ্তানি বাড়ছে বিজয় দিবসে রামন মোটর্সের সঙ্গে বৃহৎ পরিসরে যাত্রা শুরু নেপালের বাজারে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছে অটোমোবাইলস

নেপালের বাজারে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছে অটোমোবাইলস লিমিটেড। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস স্মরনীয় করে রাখতে আরো বর্ধিত পরিসরে নেপালে মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করেছে দেশের শীর্ষ মোটরসাইকেল উৎপাতন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। নেপালের সর্ববৃহৎ মোটরসাইকেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রমন মোটর্স পুরো নেপাল জুড়ে রানারের মোটরাইকেল বিক্রি করবে। এজন্য আগেই রানার অটোমোবাইলস রমন মোটর্সকে নেপালের ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগ করেছিল। নেপালের কাঠমান্ডুতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৮০ থেকে ১৫০ সিসির ৭ টি মডেলের মোটরসাইকেল উদ্বোধন করেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসফি বিনতে সামস, রানার রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, রানার অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকেশ শর্মা, রমন মোটর্সেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রমন মেহতাসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

এ বছরের ২০ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল নেপালে রপ্তানির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ কওে শুরু করে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড।। দেশটির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশের নিজস্ব এ ব্যান্ডটি জায়গা করে নেওয়া ছিল খুবই চ্যালেঞ্জের। কিন্ত প্রাথমিক অবস্থা কাটিয়ে বর্তমানে ভালোই সাড়া পাচ্ছে। চাহিদাও বাড়ার কারণে নেপালে রমন মোটর্স রানারের বিক্রয় নেটওয়ার্ক আরো জোরদার করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘নেপালের বাজার আমাদের জন্য অত্যান্ত গর্বের। নেপালের মাধ্যমেই প্রথম বাংলাদেশী ব্র্যান্ড হিসেবে রানার মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করেছি। উচ্চ মান সম্পন্ন মোটরসাইকেল এবং সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের মাধ্যমে নেপালের ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করতে চায় রানার। নেপালের বাজার নিয়ে রানারের দীর্ঘমেয়াদি নানা পরিকল্পনা আছে। আমাদের এই অগ্রযাত্রায় আমরা রমন মোটর্সকে পাশে পেয়ে আনন্দিত।’ তিনি নেপালে রানার মোটরসাইকেলের সাফল্যে ব্যবসায়িক সহযোগি ও ভোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।
রানার অটোমোবাইলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুকেশ শর্মা বলেন, রানার নেপালে মোটরসাইকেল ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য রমন মোটর্সের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। রমন মটরস সমগ্র নেপালজুড়ে বিস্তৃত ডিলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রানার মোটরসাইকেলকে নেপালের ভোক্তাদের দোরগোড়ায় পৌছে দেবে। একইসঙ্গে খুচরা যন্ত্রাংশও সহজলভ্য করবে। তিনি আরও বলেন, নেপালে রানারই প্রথম প্রতিষ্ঠান যা ৬ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে।
রমন মোটর্সের সিইও রমন মেহতা বলেন, রমন মোটর্স রানারের মোটরসাইকেল নেপালের বাজারে সরবরাহের দায়িত্ব পাওয়ায় অত্যান্ত আনন্দ ও গর্বের। আমরা ইতিমধ্যেই নেপালে ১০টি ডিলার নিয়োগ দিয়েছি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নেপালে ২০টি শোরুম এবং সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০০০ সালে মোটরসাইকেল আমদানি করে বাজারজাত শুরু করে রানার। ২০০৭ সালে ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার বাংলাদেশে প্রথম মোটরসাইকেলের কম্পোনেন্টস্ তৈরীর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে-যা বুয়েট এবং বিআরটিএ অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে রানার পানচিং, ওয়েল্ডিং, পেইন্টিং, এসেম্বলিং, টেষ্টিং ইত্যাদি মেশিনারীজ স্থাপনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী হিসাবে সরকারী অনুমোদন লাভ করে। পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেল কারখানা হিসেবে ২০১২ সালে পুরোদমে উৎপাদন শুরু করে।

তারিখ: ১৯.১২.২০১৭
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button