জাতীয়

শিক্ষকদের অনশন তৃতীয় দিনে

অনলাইন ডেস্ক: ‘বেতন বৈষম্য’ নিরসনের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘আমরণ’ অনশন পালনরত প্রাথমিকের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের কর্মসূচি তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। দাবি আদায়ে আজও শহীদ মিনারে শিক্ষকরা অনশন করছেন।

প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে বেতন নির্ধারণের দাবিতে গত শনিবার থেকে শিক্ষক মহাজোটের উদ্যাগে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া দশজন শিক্ষক রবিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। সোমবারও বেশ কয়েকজন শিক্ষকের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আমরণ অনশনে অংশ নেয়া শিক্ষকরা জানান, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে বেতন পেতেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)।

এই বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে বেতন চান সহকারী শিক্ষকরা। এজন্য তারা আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অনশন কর্মসূচি চলবে বলে শিক্ষক মহাজোটের নেতারা জানান।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ সহকারী প্রাইমারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর আলম সিদ্দিকি ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘আমাদের আন্দোলন বানচাল করতে অনেকেই উঠেপড়ে লেগেছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়বো না। আমাদের অনেক শিক্ষক আজকেও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আজকে মন্ত্রণালয় থেকে লোক এসেছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টায় আমাদের নিয়ে সরকারের বৈঠক করার কথা রয়েছে। বৈঠকে যাব কি যাব না পরে আপনাদের জানাবো।’

নুর আলাম বলেন, ‘আমাদের পাশের দেশ ভারতে শিক্ষকদের বেতন শুরু হয় ৩৫ হাজার টাকা থেকে। সেখানে আমরা পাচ্ছি মাত্র ১১ হাজার টাকা। তাহলে এই দেশে শিক্ষকদের মূল্য রইলো কই।’ তিনি বলেন, ‘এখন চালের কেজি ৫০ টাকা। এই ১১ হাজার টাকা দিয়ে আমরা কিভাবে চলবো? না পারবো সন্তানদের পড়ালেখা করাতে, না পারবো বাসা ভাড়া দিতে আর না পারবো মাস চলতে।’

এদিকে অন্দোলনে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে আসা সহকারী শিক্ষকরা শীতের রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান করেছেন। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পাটি, পত্রিকা বিছিয়ে শীতের রাত পার করেছেন তারা। তাদের আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছেন বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। গতকাল বিকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button