ত্রিশালবিভাগীয় খবরময়মনসিংহ

ত্রিশালে ব্রক্ষপুত্র নদে অবৈধ বালু উত্তোলন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

ত্রিশাল প্রতিনিধিঃইজারা ছাড়াই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গত দুইমাস ধরে ময়মনসিংহের ত্রিশালের বালিপাড়া ইউনিয়নে চরমাদাখালী মৌজা থেকে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও প্রভাবশালী মহল। ফলে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে রাজস্ব আদায়ে কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা নিয়ে।
জানা গেছে, প্রতি বছরের ১লা বৈশাখ জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে বালু মহালের ইজারা দেয়া হয়। গত বছরের ইজারাদার আব্দুস সামাদ ৬৬ লাখ টাকায় এ বছরও চরমাদাখালী মৌজার বালু মহালটির ইজারা পাওয়ার পর ১৪ লাখ টাকার পে-অর্ডার জমা দিলেও ওই মৌজার বালু মহালটি ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের আতœীয় আবু বাসার ও বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল অস্ত্রের মুখে দখল করে নেয়ায় ইজারাদার সামাদ তার জামানত নির্দিষ্ট সময়ের জমা না দেয়ায় পেঅর্ডারের ১৪ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সংশ্লিস্ট কতৃপক্ষ। সরেজমিন বালিপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চরমাদাখালী মৌজার বালিপাড়া ব্রিজ মোড়ে পাহাড়ের মতো বিশাল বালুর স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে জয়নাল মুন্সি, আলাল ও ধলা স্কুল মাঠ খলায় চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আর বিক্রি। চর ইছামতির রিসিট দিয়ে চরমাধাখালীর বালু বিক্রি হচ্ছে। লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি হলেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় স্থানীয় সচেতন মহলের হতাশার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আদায়ে কতৃপক্ষের অবহেলা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।।
চর ইছামতি মৌজায় বর্তমানে বালু না থাকলেও ধর্মমন্ত্রীর আতœীয় আবু বাসার বলেন, এগুলো চর ইছামতি মৌজার বালু। তাছাড়া আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাই তো খাচ্ছে এতে সমস্যা কোথায়।
ইজারাদার আব্দুস সামাদের সাথে কথা বলে জানাযায়, আমি সর্ব্বোচ্চ ধরদাতা হিসেবে বালি মহলের ইজারা পেলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান বাদল ও ধর্মমন্ত্রীর আত্বীয় পরিচয় দানকারী আবুল বাসারের গুন্ডাপান্ডা বালু মহল দখল করাই আমি জামানতের টাকা জমা দেয়নি। এ ব্যপারে আমি জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, আওয়ামীলীগের দাপটে নেতাকর্মীরা কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। প্রভাবশালী নেতাদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস করে না।
এ ব্যাপারে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদলকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সত্যতা পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একেএম গালিব খাঁন জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি, এ ব্যাপারে ইউএনও ত্রিশালকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button