জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের শুরু

গ্রায়েম ক্রেমারের বলটা শর্ট লেগে পাঠিয়ে এক রান নিলেন মুশফিকুর রহিম, জয় নিশ্চিত হয়ে গেল বাংলাদেশের। তবে জয়ের উচ্ছ্বাসটা তেমন ছুঁতে দেখা গেল না টাইগারদের। ফেবারিট হিসেবে শুরু করা ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ জয় তো প্রত্যাশিতই ছিল!তারপরও শঙ্কা যে একেবারে ছিল না, তা নয়। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অধ্যায় শেষে খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে যাত্রাটা কেমন হবে? কোচ হারানোর বেদনায় মুষড়ে পড়বে না তো টাইগাররা? জিম্বাবুয়েও কি ঘরের মাঠের মাশরাফিদের বিপক্ষে একটু সুযোগ নিতে চাইবে?শেষতক এসব শঙ্কা-উৎকণ্ঠাকে একেবারে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে আদতে দলের কোচের দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদ সুজনের শুরুটা হলো দুর্দান্ত, হাথুরু-বিষাদে না পুড়ে।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় এখন প্রত্যাশিত। তবে বাংলাদেশ যেমন দাপটে খেলেছে, সেটা দুই দলের পার্থক্য বুঝিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট ছিল। শিশিরভেজা আবহাওয়ায় প্রতিপক্ষকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে-খেলা করেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচটি তারা জিতেছে ১২৯ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে।বাংলাদেশের এ বড় জয়ের কারিগর বলা যায় দু’জনকে-দুই বন্ধু তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান। সাকিব তো বল হাতে ঘূর্ণি বিষ ছড়ানোর পর পছন্দের পজিশন তিন নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৭ রানের একটি ইনিংসও খেলে দিয়েছেন। স্বভাবতই ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না, ১৭১ রানের। তবে হিমশীতল আবহাওয়ায় এ লক্ষ্যটাও কঠিন হয়ে যেতে পারে, এমন শঙ্কা ছিল। তবে সেই শঙ্কাকে চড়ে বসতে দিলেন না তামিম। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৯তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন, দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়লেন।মাঠ ছাড়ার সময় তামিম অপরাজিত ছিলেন ৮৪ রানে। বাঁহাতি এ ওপেনারের ইনিংসটি ছিল ৯৪ বলের, যাতে ৮টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কা। সাকিব আউট হওয়ার পর শেষ সময়টায় তামিমকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। টাইগার উইকেটরক্ষক অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে।বাংলাদেশের পক্ষে ৪৩ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ২টি করে উইকেট মোস্তাফিজুর রহমান আর রুবেল হোসেনের। মাশরাফি আর সানজামুল ইসলামও পেয়েছেন একটি করে উইকেট।