খেলাধূলা

মাশরাফির জয়ের রেকর্ডে বাংলাদেশের অদম্য যাত্রা

অনলাইন ডেস্ক: লো স্কোরিং ম্যাচে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) অনেক রেকর্ডের দিনটি ছিল বাংলাদেশের। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তুজা দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০টি ওডিআই ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছেন। যা আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন (২৯টি)। আর তামিম মঙ্গলবার করেছেন দুইটি রেকর্ড। যার একটি বিশ্ব রেকর্ড। তিনি নিজের মাঠে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে তামিম মঙ্গলবারই ওয়ানডেতে ৬ হাজার রানের ক্লাবে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম নাম লিখিয়েছেন।

মঙ্গলবার ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ দাপটেই জিম্বাবুয়েকে ৯১ রানে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেয়ে পয়েন্টের শীর্ষে রয়েছে। টানা তিনটি ম্যাচেই বোনাস পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২১৭ রানের লো স্কোরের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ৩৬.৩ ওভারে ১২৫ রান তুলেই গুটিয়ে গেছে। তামিম ইকবাল ৭৬ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন। সাকিব আল হাসান ৩টি,সানজামুলের মতো মাশরাফি এবং মোস্তাফিজ দুটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। একটি উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন।

সিরিজে টিকে থাকতে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ইনিংসে ওপেনিংয়ে নামেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা এবং সলোমন মিরে। চতুর্থ ওভারে মাশরাফি ফিরিয়ে দেন ৫ রান করা মাসাকাদজাকে। দলীয় ১৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর উইকেট শিকারে যোগ দেন সাকিব। পর পর দুই বলে উইকেট তুলে নেন তিনি। সলোমন মিরেকে (৭) সরাসরি বোল্ড করার পরের বলেই এলবির ফাঁদে ফেলে ব্রেন্ডন টেলরকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। দলীয় ২০ রানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৩৪ রানে আরভিনকে (১১) ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। ইনিংসের ২৩তম ওভারের চতুর্থ বলে সানজামুল এলবির ফাঁদ পেতে ফেরান ৪২ বলে ১৪ রান করা পিটার মুরকে।

পরের বলেই এলবির ফাঁদে ফেরেন ম্যালকম ওয়ালার। ৬৮ রানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৯৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৩ রান করা ক্রেমারকে এলবির ফাঁদে ফেলেন রুবেল হোসেন। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে থিতু হওয়া সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। দলীয় ১০৭ রানে জিম্বাবুয়ে ৮ম উইকেট হারায়। রাজা ফেরেন ৩৯ রানের ইনিংস খেলে। ১০৭ রানের মাথায় ৯ম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৮ রান করা চাতারা ফেরেন সাকিবের শিকারে। শেষ উইকেটটি পান মোস্তাফিজ।

প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর ইতোমধ্যেই সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। তামিম-সাকিব দারুণ ব্যাটিং করলেও নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২১৬ রান। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। বিজয়ের উইকেটের মধ্য দিয়ে দলীয় ৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাকিব ৫১ রানে সাজঘরে ফেরেন। সাকিব আউটের আগে তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন ১০৬ রানের।

এরপর দলীয় ১৪৭ রানে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। দলীয় ১৫৬ রানে ক্রেমারের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ২ রানে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে ক্রেমারের বলকে সীমানা ছাড়া করতে এলে সাকিবের মতো তামিমও উইকেট বিলিয়ে দেন। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৭৬ রান। ১৬৭ রানে ব্যক্তিগত ৬ রান করে জারভিসের বলে আরভিনের ক্যাচে ফিরে যান সাব্বির।

এরপর ব্যক্তিগত ২ রানে জারভিসের বলে টেলরের ক্যাচে ফিরে যান নাসির। ১ রানের ব্যবধানেই বিদায় নেন অধিনায়ক মাশরাফি। সানজামুল শেষ দিকে ২৪ বলে ১৯ রান না করলে ২০০’র আগেই গুটিয়ে যেত বাংলাদেশ। মোস্তাফিজ ২২ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। রুবেল হোসেন ৪ বলে একটি ছক্কায় ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার চারটি আর কাইল জারভিস তিনটি উইকেট নেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ রয়েছে। এই ম্যাচে যদি শ্রীলঙ্কা হেরে যায় তাহলে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে নেট রান রেটের ভিত্তিতে যারা এগিয়ে থাকবে তারাই ফাইনালে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে। আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ইনিংস: ২১৬/৯ (৫০ ওভার), (তামিম ইকবাল ৭৬, এনামুল হক বিজয় ১, সাকিব আল হাসান ৫১, মুশফিকুর রহিম ১৮, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২, সাব্বির রহমান ৬, নাসির হোসেন ২, মাশরাফি বিন মোর্তুজা ০, সানজামুল ইসলাম ১৯, মোস্তাফিজুর রহমান ১৮*, রুবেল হোসেন ৮*; কাইল জারভিস ৩/৪২, টেন্ডাই সাতারা ১/৩৩, ব্লিজিং মুজারাবানি ০/৩৬, সিকান্দার রাজা ১/৩৯, গ্রায়েম ক্রেমার ৪/৩২, ম্যালকম ওয়ালার ০/৩২)।
জিম্বাবুয়ে ইনিংস: ১২৫ (৩৬.৩ ওভার), (হ্যামিলটন মাসাকাদজা ৫, সলোমন মিরে ৬, ক্রেইগ আরভিন ১১, ব্রেন্ডন টেইলর ০, সিকান্দার রাজা ৩৯, পিটার মুর ১৪, ম্যালকম ওয়ালার ০, গ্রায়েম ক্রেমার ২৩, কাইল জারভিস ১০, টেন্ডাই সাতারা ৮, ব্লিজিং মুজারাবানি ০*; সাকিব আল হাসান ৩/৩৪, মাশরাফি বিন মোর্তুজা ২/২৯, সানজামুল ইসলাম ২/২৮, মোস্তাফিজুর রহমান ২/১৬, রুবেল হোসেন ১/১৮)।ফল: ৯১ রানে জয়ী বাংলাদেশ। ম্যান অব দা ম্যাচ: তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ)।

মাশরাফির জয়ের রেকর্ড:
৯১ রানে হারলো জিম্বাবুয়ে। সেই সঙ্গে দারুণ এক রেকর্ড হয়ে গেল অধিনায়ক মাশরাফির। দেশকে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে জেতানো অধিনায়ক এখন তিনি। তাঁর অধিনায়কত্বে গত আড়াই বছর ধরে অন্য দল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ধরা দিয়েছে একের পর এক মনে রাখার মতো সাফল্য। অধিনায়ক হিসাবে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। এবার অনন্য এক সাফল্যে উদ্ভাসিত হলেন মাশরাফি বিন মোর্তুজা। দেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে জয় এনে দিয়ে নতুন মাইলফলক গড়লেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি জয় এনে দেওয়া অধিনায়ক এখন তিনিই। ৫৩টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ৩০টি জয় এনে দেন মাশরাফি। এতদিন এই রেকর্ডটা ছিল সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের দখলে। বাশার ৬৯ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ২৯টি ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন। বাশারের নেতৃত্বে ৪০টি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। তবে মাশরাফির নেতৃত্বে ২১টি ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। তার মানে এখানেও বাশারের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছেন মাশরাফি। বাশার-মাশরাফির পর বাংলাদেশকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩টি ওয়ানডেতে জয়ের স্বাদ দিয়েছেন ৫০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়া সাকিব আল হাসান।

আরো অপেক্ষা বাড়লো তামিমের:
এক ম্যাচেই দারুণ তিন-তিনটি রেকর্ড স্পর্শ করার হলো না তামিম ইকবালের। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৬ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেছেন তামিম। তার আগে নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। এরপর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ব্যক্তিগত শতকের সংখ্যাকে দুই অঙ্কে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল তামিমের সামনে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি বাঁহাতি এই তারকা ওপেনার। ব্যক্তিগত ৭৬ রানে থামে তার ইনিংস। ১০৫ বল খেলে তামিম কোনো ওভার বাউন্ডারি না পেলেও ৬টি চারের দেখা পান। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৮৪ রান। সেবার না হলেও পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমে নিজের দশম শতকটি পূরণ করার কাছাকাছিই গিয়েছিলেন এই টাইগার ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে ১০২ বলে ৭টি চার আর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে তামিম সে ম্যাচেও করেন ৮৪ রান। মঙ্গলবার নিজের তৃতীয় ম্যাচে আবারো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নামেন তামিম। ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে গ্রায়েম ক্রেমারকে উড়িয়ে মারতে উইকেট ছেড়ে বের হন। স্ট্যাম্পিং হয়ে নিজের উইকেট অনেকটাই বিলিয়ে দিয়ে আসেন তামিম। ২৮ বছর বয়সী তামিম এই সিরিজে ছুঁয়েছেন আরেকটি রেকর্ড। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক টেস্ট, ওডিআই ও টি-২০ মিলিয়ে ১১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। একদিনের ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের ঝুলিতে দশম শতকটি যোগ করার অপেক্ষায় থাকতে হলো তামিমকে।

টেলএন্ডারদের কাছ থেকে সবাই এটাই চায়:
বাংলাদেশের আরেকটি মূল সমস্যা হলো টেলএন্ডারদের (নীচের সারির ব্যাটসম্যান) কাছ থেকে তেমন কোন রান পাওয়া যায় না। ফলে বেশীর ভাগ সময়ই বিপদের পড়তে হয় বাংলাদেশকে। হোক না ঘরের মাঠে খেলা কিংবা দুর্বল প্রতিপক্ষ, বলা তো যায় না কখন দলের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হন। তাই বাড়তি কিছু রান যদি বোলাররা ব্যাটার হয়ে উঠে স্কোরবোর্ডে যোগ না করতে পারেন তাহলে তো লড়াই করাই কঠিন হয়ে যাবে। এটা খুব ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন দলের অলিখিত কোচ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তাই ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে ক্যাম্পের শুরু থেকেই নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের শক্তি বাড়াতে বোলারদের আলাদা করে ব্যাটিং অনুশীলন করাতে শুরু করেন তিনি। আর মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তার ফলাফল হাতেনাতে পেলেন সুজন, সাথে বাংলাদেশ দল। এবার মনে হয় সেই আক্ষেপটা আর থাকছে না।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষ হতে না হতেও সপ্তাহ দেড়েকের বিশ্রাম শেষে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য শুরু হয় টাইগারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প। শুরুতে ফিটনেস নিয়ে কাজ করা হয়। আর তার পাশাপাশি বোলারদের ব্যাটিং অনুশীলন। চললো ক্যাম্পের প্রায় শেষ পর্যন্ত। প্রতিদিনই আলাদা করে দুই ঘণ্টা নেটে ব্যাটিং করেছেন মোস্তাফিজ-সানজামুল-রুবেলরা। বোলিং মেশিনের সামনেও নিয়মিত ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেছেন তারা। আর তাতে যে কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে তার প্রমাণ মিলল গতকাল মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিরতি পর্বের ম্যাচেই। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুতেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। তবে এরপর সাকিব ও তামিমের বীরত্ব। ১০৬ রানের জুটি। কিন্তু জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে টাইগারদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ। দলীয় ১৭০ রানেই হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। ৪৩তম ওভার চলছে তখন। অল আউট হওয়া সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল। ৫০ ওভার খেলাটাও খুব দূরের পথ লাগছিল। আর দুইশ রান তখন বহু দূরের কোন বাতিঘর।

কিন্তু দলের এমন প্রয়োজনের সময়টাতেই বীরের মতোই ব্যাট চালাতে থাকেন সানজামুল ইসলাম। যদিও ব্যাটটা আগে থেকেই খারাপ চালাতে জানতেন না তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে টুক টাক ব্যাটিংয়ে কিছু করে দেখিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিফটিও আছে তার। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো তিনি একেবারেই নবীন। মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলছেন। তারপরও দারুণ ব্যাটিং দেখা গেল তার। উন্নতিটা স্পষ্ট দেখে গিয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যাটেও।

কিছু মিস হিট হলেও শেষের চাপ নিয়ে দারুণ ব্যাট করেছেন কাটার মাস্টার। আর রুবেল হোসেন তো দেখিয়েছেন শেষের ঝলক। ২৪ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৯ রান সানজামুলের। ফিজ ২২ বলে ২ চারে থেকেছেন ১৮ রানে অপরাজিত। ৪ বলে ইনিংসের দ্বিতীয় এবং নিজের একমাত্র ছক্কায় ৮ রানে অপরাজিত থেকে গেছেন রুবেল। যেখানে এনামুল হক বিজয় ১, মুশফিকুর রহীম ১৮, মাহমুদউল্লাহ ২, সাব্বির রহমান ৬, নাসির হোসেন ২ আর মাশরাফি বিন মুর্তজা ০ রানে ফিরেছেন। মূলত নীচের দিকের এ ব্যাটসম্যানদের সুবাদেই দুইশ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ২১৬ রান করেছে দলটি। – আমার সংবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button