গ্রামীণ কৃষিপ্রাণের বাংলাদেশ

সরিষার ফলন; ভালুকায় কৃষকের আবাদে আগ্রহ

ময়মনসিংহের ভালুকায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়াতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ সরিষা চাষে উদ্ধুদ্ধ করছেন। এক সময় গ্রামের আনাচে কানাচে সরিষার আবাদ হতো মাঝখানে যা হারিয়ে যেতে বসেছে। সম্প্রতি ভালুকায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতার কৃষকরা নতুন করে সরিষা আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপজেলার হবিরবাড়ী ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, তার ব্লকে রাজস্ব সহায়তা ও উদ্বুদ্ধ করনের মাধ্যমে ৩০ বিঘা জমিতে বারি ৯ ও ১৪ জাতের সরিষা আবাদ হয়েছে। কৃষকরা সরিষা আবাদে যে ভাবে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন তাতে আগামী মৌসুমে হবিরবাড়ী ব্লকে ৬০ থেকে ৮০ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদের পরিকল্পনা রয়েছে। সরিষা উত্তোলনের পর যাতে ওই জমিতে বোর আবাদ করতে পারেন সেজন্য বিনা ১৪ ব্রাউশ করার প্রস্তুতি চলছে। পূর্ব থেকেই বিনা ১৪ কৃষক পর্যায়ে মজুদ রাখার পরামর্শ দেন।
এ বছর বারি ৯ ও ১৪ জাতের সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছেন ভালুকার কৃষকরা। প্রতি বিঘায় ৪ থেকে ৫ মণ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হবিরবাড়ী ব্লকের কাঁশর গ্রামের চাষী আঃ হালিম জানান, সরিষার আবাদ তারা এক রকম ভুলেই গিয়েছিলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে রাজস্ব সহায়তা নিয়ে আবার নতুন করে সরিষার আবাদ শুরু করেছেন। এ বছর তিনি তিন বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন ফলন ভাল পাবেন বলে আশা করছেন। সরিষা আবাদ করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে আরো বেশী করে সরিষা আবাদে সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতা আশা করছেন এই কৃষক।
সরিষা আবাদে জমির স্বাস্থ্য ও নিবিরতা বৃদ্ধি করে। সরিষা আবাদ করলে তৈল, খৈল ও জ্বালানী বিক্রি করে কৃষক আর্থিক ভাবে লাভবান হয়ে থাকেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল জানান, এ বছর উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হলেও অর্জিত হয়েছে ৬৫ হেক্টর। কৃষি বিভাগ রাজস্ব হতে ২৮০ কেজি বীজ কৃষকের মাঝে সরবরাহ করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button