শ্লীলতাহানির অভিযোগ

নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে সদ্য বদলীকৃত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিমা পারভীনের স্বামী হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষক সামছুজ্জামান কর্তৃক নবীগঞ্জে একাধিক কাজের মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাজের মহিলাদেরকে এরুপ শ্লীলতা হানির কারনে এক বছরে তার বাসা থেকে ৬/৭ জন কাজের মহিলা বিদায় হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এসব মহিলাদেরকে আর্থিক ক্ষতিপুরন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও কোন সুরাহা না করায় এ ব্যাপারে সুবিচার না পেয়ে একাধিক কাজের মহিলা হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রেরন করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে সদ্য বদলীকৃত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিমা পারভীন নবীগঞ্জে চাকুরীর সুবাধে নবীগঞ্জ উপজেলা সরকারী কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। তার স্বামী মোঃ সামছুজ্জামান এখান থেকে গিয়েই হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষকতা করতেন। তাদের বাসায় কাজের মহিলা হিসাবে গত ২০১৭ সালের ১লা নভেম্বর চাকুরী নেয় নবীগঞ্জ পৌর এলাকার মায়ানগর গ্রামের উমেদ আলী ও আছিয়া খাতুনের কন্যা পপি আক্তার। বাসায় কাজে যোগদানের সপ্তাহখানেক পরই সুযোগ বুঝে বেশ কয়েকবার তাকে শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে মহিলা কর্মকতার স্বামী মোঃ সামছুজ্জামান। বিষয়টি পপি আক্তার তার অভিভাবকদেরকে জানালে শালিশ বিচারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা পারভীন কাজের মেয়ে পপি আক্তারের বিয়ের খরচের জন্য ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে নগদ টাকা দেওয়ার কথা সাব্যস্থ হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসেই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অফিসিয়ালভাবে তোপের মুখে পড়ে বদলী হয়ে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় বদলী হয়ে চলে যান।
অভিযুক্তদের ক্ষতিপুরন না দিয়ে নবীগঞ্জ থেকে বদলী হয়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়ে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার রাজাবাদ গ্রামের এবং সদর ইউনিয়নের বারৈকান্দি গ্রামের আরো ২ জন কাজের মেয়ের সাথে এরুপ ঘটনা করার ফলে তারা সুবিচার না পেয়ে গত ২৬ শে ফ্রেব্রুয়ারী নবীগঞ্জ পৌর এলাকার মায়ানগর গ্রামের উমেদ আলীর স্ত্রী আছিয়া খাতুনসহ সালেহা বেগম,আলেয়া বেগম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন । এ ব্যাপারে অভিযুক্তরা হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষক সামছুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক,হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট অনুলিপি প্রদান করেন।
নবীগঞ্জ উপজেলায় মহাযোগী পরমপুরুষ লোকনাথ ব্রম্মচারী বাবার পাদুকা মহাউৎসবে ভক্তদের উপছেপড়া ভীড়, ৩টি স্বর্নের চেইন ছিনতাই!
নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ উপজেলা লোকনাথ সেবা সংঘের উদ্যোগে পৌর এলাকার আক্রমপুরস্থ মন্দিরে,সোজাপুর লোকনাথ সেবা সংঘের উদ্যোগে,বড় শাখোয়া লোকনাথ সেবা সংঘের উদ্যোগে জাকজমকপুর্ন পরিবেশে মহাযোগী পরমপুরুষ লোকনাথ ব্রম্মচারী বাবার পাদুকা মহাউৎসব গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পালন করা হয়েছে। আক্রমপুরস্থ মন্দিরে অনুষ্টানের সভাপতি সুখেন্দু পুরকায়স্থের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সাধন চন্দ্র দাশের পরিচালনায় অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট সুলতান মাহমুদ,নবীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারয়ন রায়, সাধারন সম্পাদক ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল,উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাদারন সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা,লোকনাথ সেবা সংঘের সাবেক সভাপতি নিতেশ রায়,সাবেক সাধারন সম্পাদক রঞ্জিত চক্রবর্ত্তী নান্টু,বিধান ধর,চারু দেব,পরিতোষ বনিক,প্রজেশ রায় নিতন,নীলকণ্ট সুত্রধর,অনজিত দাশ লিটন,সুজিত পাল,দিলীপ বনিক,সজল দেবসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সোজাপুর লোকনাথ সংঘের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি অরুন রায়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক নেপাল পালের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল,েেগাপাল চন্দ্র পাল,সাবেক মেম্বার হারুন মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোপেন্দ্র পাল,মহাদেব রায়,শংকর পাল,অজিত পাল,রাজীব কুমার রায়,নির্মল পালসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তবে নবীগঞ্জ আক্রমপুরস্থ লোকনাথ মন্দিরে ভক্তদের উপছেপড়া ভীড়ের মাঝে একদল ছিনতাইকারী ভীড়ের মাঝে মহিলা পুজারীদের গলা থেকে ৩টি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ছিনতাইয়ের বিষয়টি নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করে এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।