ব্যক্তিগত সহকারীকে ধর্ষণ: দক্ষিণ কোরিয়ার গভর্নরের পদত্যাগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্যক্তিগত সহকারী ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার একজন গভর্নর পদত্যাগ করেছেন। ফেসবুকে এক পোস্টে সাউথ চুংচেয়ং প্রদেশের গভর্নর আহন হি-জুং নিজের ‘বোকামির, জন্য ‘ক্ষমা চেয়েছেন’। “আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি, বিশেষ করে কিম জি-এউনের কাছে। সব দোষ আমার। যে কারণে আমি আজ পদত্যাগ করব এবং সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ইতি টানব।”
তবে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করেননি প্রভাবশালী এই নেতা।আট মাস হি-জুংয়ের ব্যক্তিগত সহকারি ছিলেন কিম জি-এউন। কিমের দাবি, ওই আট মাসে তাকে চারবার ধর্ষণ করা হয়েছে।
মি টু আন্দোলনে উৎসাহিত হয়ে তিনি ধর্ষিত হওয়ার কথা প্রকাশ করেছেন বলেও জানান। পুলিশ যৌন নিপীড়নের এ অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। সোমবার রাতে স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন কিম। সেখানেই তিনি আহনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, গত বছর জুন থেকে এ বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫৪ বছরের আহন তাকে চারবার ধর্ষণ করেছেন। এছাড়াও অনেক অনুষ্ঠানে তিনি আহনের যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন।
“যৌন সম্পর্কে আমার সম্মতি ছিল না এবং আমি নিশ্চিত তিনিও এটা জানতেন। কিন্তু ওই সময় আমি না বলার মত অবস্থায় ছিলাম না।”
আরো কয়েকজন আহনের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেন কিম।
তার দাবির পরপরই আহনের কার্যলয় থেকে ‘উভয়ের সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক হয়েছে’ বলে বিবৃতি দেওয়া হয়। ওই বিবৃতি ‘মিথ্যা’ ছিল বলে পরে অন্য এক বিবৃতিতে জানান আহন।
হলিউডে যৌন নিপীড়ন নিয়ে মি টু’ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর আহন তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জানিয়ে কিম আরও বলেন, “ওই আন্দোলন নিয়ে হইচই শুরু হলে আহন খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি আমাকে তার অফিসে ডেকে পাঠান এবং ক্ষমা চান। কিন্তু তার পরই তিনি আবারও একই কাজ করেন।”
২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক পার্টি অব কোরিয়ার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিলেন আহন। যদিও সেবার তিনি হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের নির্বাচনে তাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করা হত।