গুনীজন/প্রতিভাতথ্য-প্রযুক্তিপ্রাণের বাংলাদেশসৃজনশীল উদ্যোগক্তা

বিবাহ নিবন্ধনে জাককানইবির দুই শিক্ষার্থীর অভাবনীয় চিন্তা

জাককানইবি প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের “ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং” বিভাগের দুইজন শিক্ষার্থী মোঃ আলমাস হোসাইন শাজা ও মোঃ ইউসুফ জামিল রনি প্রজেক্টের অংশ হিসেবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কিত “Biometric Registration System for Preventing Illegal Marriage” নামে একটি ডিভাইস তৈরি করেন।
এই ডিভাইসের মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানের ভিত্তিতে বিয়ে নিবন্ধন,বর-কনের পূর্বোক্ত বৈবাহিক অবস্থা ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সহজেই জানা যাবে।
বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় ধরনের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সমস্যা বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ। এ দেশে প্রতিনিয়তই প্রকাশ্যে বা গোপনে মিথ্যে তথ্যের মাধ্যমে শত-শত বহুবিবাহ বা বাল্যবিবাহ সংগঠিত হচ্ছে। ফলে দেশের জনগণ প্রতিনিয়ত সামাজিক অবক্ষয় সহ নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
সময়ের ব্যবধানে অনেকেই তাদের পূর্ব বিবাহের তথ্য গোপন রেখে দুই বা ততোধিক বিবাহ সম্পন্ন করেন। এ সময় বরের পূর্বের বৈবাহিক অবস্থা সম্বন্ধে ধারণা নেওয়ার কোনো উপায় থাকে না।শহরে এর বিপরীত অবস্থা ঘটে থাকে যেখানে ভুয়া বাবা ও মা,কাজী,উকিলবাবা সেজে কোন সুন্দরী মেয়েকে কনে বানিয়ে বেশী টাকা দেনমোহর নিয়ে ধনবান ব্যক্তির সাথে বিয়ে দেন। ফলাফল হিসেবে কয়েকদিন পর ডিভোর্স দিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন।
এই সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন মেধাবী মুখ
আলমাস হোসাইন শাজা ও মোঃ ইউসুফ জামিল রনির “Biometric Registration System for Preventing Illegal Marriage” ডিভাইসটি তৈরি করেন।
ডিভাইসটির মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী বর-কনের প্রকৃত বয়স ক্যালকুলেশন করা যাবে।ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে কেউ ইচ্ছে করলেও এই ডিভাইসের মাধ্যমে বিয়ে করতে পারবে না।সাক্ষীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের তথ্য ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে ডাটাবেজ সিস্টেমে সংরক্ষিত থাকবে।কাজীর অবর্তমানেও যেকোন সময় সকল তথ্যাদি জানা যাবে।তার ফলে তথ্য গোপন করে বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের বিষয়টি থাকবে না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ আলমাস হোসাইন শাজা বলেন,আমরা আমাদের শিক্ষার অংশ হিসেবে উপরোক্ত বিষয়টা সিলেক্ট করি।যার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আমাদের বিভাগের সম্মানিত সহকারী অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাঈন উদ্দিন স্যার।আমরা চাই,বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহ নামক অভিশাপ থেকে আমাদের সমাজ তথা রাষ্ট্র মুক্তি পাক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button