এক্সক্লুসিভলাইফ স্টাইল

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে করলার জুস

বর্তমান সময়ে খুব সাধারণ একটি রোগ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। সাধারণত দুই ধরনের ডায়াবেটিস দেখা যায়। একটি হল টাইপ ১ ডায়াবেটিস যেখানে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন হয় না। আরেকটি হল টাইপ ২ ডায়াবেটিস যেখানে ইনসুলিন ঠিকমত কাজ করে না।

এ ছাড়া উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয় শরীর। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে করলার জ্যুস।

করলার জ্যুস কেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর তা নিচে দেওয়া হলো:

কারলা জ্যুস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে একটি চমৎকার পানীয়। এটি শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

ভারতের ব‍্যাঙ্গালোরভিত্তিক পুষ্টিবিদ ডা. আঞ্জু সুদ ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, করলার রস শরীরের ইনসুলিনকে সক্রিয় করে। ইনসুলিন সক্রিয় হলে শর্করা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং তা চর্বিতে রূপান্তরিত হয় না। ফলে ওজন কমে।

গবেষণা মতে, করলার রসে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদানসহ কিছু সক্রিয় উপাদান রয়েছে। এদের একটি হলো ক্যারান্টিন। উপাদানটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিচের পর্যায়ে নামিয়ে আনে। এ ছাড়া করলার রসে পলিপেপটাইড-পি বা পি-ইনসুলিন নামের একটি উপাদান রয়েছে। এটি প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। উপাদানটি রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে একক ও যৌথ- উভয় প্রক্রিয়ায় কাজ করে।

যেভাবে তৈরি করবেন করলার জ্যুস:

ছুরি দিয়ে করলা ছোট ছোট করে কাটুন। কাটার সময় এর সাদা অংশ ও বীজ ফেলে দিন। কাটা করলা ৩০ মিনিট ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। একটি জ্যুসারের ভেতর করলার টুকরো নিন। এর সঙ্গে আধা চা চামচ লবণ এবং লেবুর রস মেশান। এবার উপাদানগুলো ব্লেন্ড করুন।

পানীয়টির তেতো স্বাদ কমাতে মধু বা গুড় মেশাতে পারেন। এ ছাড়া মেশাতে পারেন আপেল বা নাশপাতির মতো ফলের মিষ্টি রস। এর সঙ্গে একটু গোল মরিচ গুঁড়ো করে এবং একটু আদার রস দিলে তেতো স্বাদ দূর হবে। এবার করলার টাটকা মিশ্রণটি পান করুন এক গ্লাস।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button