ব্রেইন টিউমারে মৃত্যুর কোলে ক্রিকেটার
স্পোর্টস্ ডেস্ক: কিছুদিন আগে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসাপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন অনেকটা সুস্থ টাইগার দলের স্পিনার মোশাররফ রুবেলে। খুব দ্রুত সমস্যাটি ধরা পরায় অতি সহজেই বেঁচে ফিরেছেন রুবেল। নয়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারতো তার জীবনে।
টাইগার এই বোলার ব্রেইন টিউমারকে জয় করলেও স্কটল্যান্ডের স্পিনার কন ডি ল্যাঙ্গে ব্রেইন টিউমারকে জয় করতে ব্যার্থ হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার ডি ল্যাঙ্গে পারি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে।
স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ২০১৮ সালের অক্টোবরে ডি ল্যাঙ্গের উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি ফান্ড সংগ্রহের ক্যাম্পেইন শুরু করেছিল। নিজের অসুস্থতার সঙ্গে লড়তে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটা অপারেশন, রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপি নিয়েছিলেন ডি ল্যাঙ্গে। তবুও মৃত্যুর কাছে বাঁচতে পারেননি এই ক্রিকেটার।
ডি ল্যাঙ্গে স্কটল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে দিয়ে। জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ও শেষ ক্রিকেট ম্যাচটি তিনি খেলেন ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর আরব আমিরাতে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে স্কটল্যান্ডের জার্সিতে ১৩ ওয়ানডে ম্যাচে ৪.০৭ ইকোনমি রেটে ১৬ উইকেট শিকার করেছেন ডি ল্যাঙ্গে, ৫ উইকেট শিকার করেছেন একবার। এছাড়া ব্যাট হাতে করেছেন ১২৩ রান। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৮টি, মাত্র ৬.৩৩ ইকোনমি রেটে ঠিক ৮টি উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে।
দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত হওয়ায় স্বভাবতই স্কটল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলার পাশাপাশি ডি ল্যাঙ্গের ক্যারিয়ারের বড় সময় কেটেছে আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই। বোল্যান্ড, কেপ কোবরাস, ঈগলস এবং ফ্রি স্টেটের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন ডি ল্যাঙ্গে। এছাড়া ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারেও খেলেছেন তিনি।
ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের চেয়ারম্যান টনি ব্রায়ান তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলেন, ‘এত অল্প বয়সে কন ডি ল্যাঙ্গের চলে যাওয়াটা সত্যিই মর্মান্তিক। সে স্কটল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের একজন অ্যাম্বাসেডর ছিলো। শুধু জাতীয় দল নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজের সেরাটা বিলিয়ে দিত ডি ল্যাঙ্গে। কোচ হিসেবেও নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছিল সে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছুর উর্ধ্বে, আমরা মনে রাখবো ব্যক্তি কন ডি ল্যাঙ্গেকে। যে মানুষ হিসেবে ছিলো খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং দলের জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়া ব্যক্তিত্ব। আমরা তার উপস্থিতি মিস করবো এবং তার অবদান কখনোই ভুলবো না।’