নারী ও শিশু

পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার শিশু

অনলাইন ডেস্ক: আবারো পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে একটি শিশু। ওই শিশুকে বেধড়ক পেটানোর পর ওপরে তুলে আছাড় মেরেও ক্ষান্ত হননি নির্যাতনকারী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিশুটিকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনের সংবাদ অনলাইন এ নিয়ে একটি ভিডিওসহ প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, দুই জন যুবক ৭/৮ বছরের একটি শিশুকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করছে। দুই যুবকের মধ্যে একজন হাত ধরে আছে, আরেকজন মারপিট করছে। এসময় শিশুটি দাদা-দাদা বলে চিৎকার করে কাঁদছে। কিন্তু তাতেও মন গলেনি পাষণ্ডদের।

পাশে কয়েকজন শিশুসহ বেশ কিছু লোকজনকে শিশুটিকে নির্যাতনের দৃশ্য দেখতে দেখা যায়। কিন্তু এসময় কেউই বাধা দিতে এগিয়ে আসেনি। ভিডিওতে দেখা যায়, মারপিটের এক পর্য়ায়ে শিশুটিকে তুলে আছাড় মারা হচ্ছে। এসময় একজন তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছেন।

প্রথম দিকে কোথাকার ঘটনা সেটি না জানা গেলেও ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সেটি আজ জানা যায়।

ঘটনাটি ঘটে ২৫ জুলাই সিলেটের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুরে ইউনিয়নে। নির্যাতনের শিকার শিশুটির নাম মো. আব্দুল আলী (১৩)। সে হাজীপুরের মৃত মুসাব্বির আলীর ছেলে। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় আব্দুল আলীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটির ফুফাতো ভাই আহসান জানান, শিশু আব্দুল আলী স্থানীয় ভুষি মালের ব্যবসায়ী পারভেজের ট্রলি চালাতো। টানা পাঁচদিন তার জ্বর থাকায় ট্রলি চালাতে যেতে পারেনি আব্দুল আলী। কয়েকদিন কাজে না যাওয়ায় পারভেজ, আমির আলী আর ময়না আব্দুলের বাড়িতে আসে। তারা তাকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পাঁচ দিন কাজ না করায় তার কাছে তিন হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন পারভেজ। সে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে বেধড়ক মারধোর করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে শূন্যে তুলে আছাড় মারা হয়।

কুলাউড়া থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কুদ্দুস মিয়া ও রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার মূল আসামি পারভেজসহ বাকি তিনজন পলাতক আছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button