দর্শন হয়ছেে কি বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক !

এস এম সোহেল রানা : বহুদিন ধরে,বহু ক্রোশ দূরে,বহু ব্যায় করে,বহুদেশ ঘুরে,দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা ,দেখিতে গিয়াছি সিন্ধূ , দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া ,ঘর হতে শুধু দুপা ফেলিয়া,একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশির বিন্দু।
রবি ঠাকুরের কবিতার ধারাবাহিকতায় তেমনি অনেকেরই যাওয়া হয়নি দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারীর্ পাক।ে
গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী ও শ্রীপুর উপজেলা মাওনাতে ৩৮১০ একর বনভূমির মাষ্টার প্লানে অবস্থান করছে। ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে ২০১৩ সালে ২৬৩.০০ কোটি টাকা প্রকল্প পাশে পরিপূর্নতা লাভ করে ।
ঢাকা থেকে ৫০ কি:মি: উত্তরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে,গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান গেইট পার হয়ে (ভবানীপুর থেকে ৪ কিলো উত্তর পশ্চিম কর্নারে) বা তার পরবর্তী বাস ষ্টান্ড ( বাঘের বাজারের পশ্চিম দিকে ) শৈল্পিক সিমেন্ট দিয়ে তৈরি গাছের আকৃতিতে সাপ পেচানো সাথে বানর, রং করা বাঘ বসে আছে , যে গেইট তা থেকে ৩ কিলো মিটার পর প্রধান ফটক । প্রতি ঈদেই থাকে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় । আর এমনিতে বছরের প্রতিদিনই হরদম চলছে তো চলছেই শত হাজার দর্শনর্থীদের প্রদার্পন ।
সব চাইতে মজার ব্যাপার হলো ,সাফারী পার্কে মানুষ আবদ্ধ অবস্থায় চলাফেরা আর জীবজন্তুু খোলা মাঠে নিদিষ্ট জায়গায় বিচরন করে । এশিয়া মহাদেশের প্রায় সকল পার্কের সাথে সমন্নয় করে দেশি বিদেশী বন্যপ্রাণী নিয়ে মনোরম পরিবেশে দর্শনাথীর দৃষ্টি কারছে ।
তথ্য শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকগন পরিচিতি লাভ করছে । নিরাপত্তার মধ্যে মিনিবাসে চড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ বন্যপ্রানী পর্যটকরা দেখতে পাচ্ছে । রয়েছে লেকের ধারে অতিথি আর নয়নাভিরাম সৌন্দর্য পর্যবেক্ষন টাওয়ারে । পাখীশালায় অসংখ্য পাখি । বেষ্টনীতে বিরল প্রজাতির প্রাণী আরোও রয়েছে বিশ্রামাগার । পর্যটকদের চলতে হচ্ছে বিশেষ নিয়ম মেনে । যেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ,খাদ্যদ্রব্য ভিতরে না নেওয়া । বন্যপ্রাণীর ক্ষতি হবে এমন কাজ না করা , প্রাণী কতৃক ক্ষতি হতে পারে বলে সাবধানতা ।
দর্শনীয় স্থাপনা সমূহের মাঝে কোর সাফারী, সাফারী কিংডম, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার ,অবমুক্ত ও বেষ্টনীতে রাখা বন্যপ্রাণী , ন্যাচারাল হিষ্ট্রি মিউজিয়াম উল্লেখ যোগ্য। ভাওয়াল গড়ের কাশবনে উচু নিচু ভূমিতে প্রায় শত প্রজাতির গাছপালা আর শত শত বন্যপ্রানী দেখা যেত বিধায় বঙ্গবন্ধু সৃতি বিজড়িত এই এলাকার সাফারী পার্ক প্রতিষ্ঠত হয়।বর্তমানে দেশী বিদেশী উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণীর বিপোল সমারোহ ।
সাফারী পার্ক পরিদর্শন করতে হয় নির্ধারিত ফি দিয়ে । জনপ্রতি ৫০টাকা ,অপাপ্ত ২০ টাকা , ছাত্র-ছাত্রী ১০ টাকা। শিক্ষাসফর হলে অনুমতি সাপেক্ষে ৪০ থেকে ১০০জন ৪০০ টাকা আর ১০০ জন এর বেশি হলে ৮০০শত টাকা। পার্কিং ফি বাস ট্রাক ২০০ টাকা । মিনিবাস, মাইক্রোবাস ১শত আর কার/জীপ ৬০ টাকা এবং টেম্পু, রিক্সা ২০টাকা। বিভিন্ন বন্যপ্রাণী এরিয়া ও দর্শনীয় স্থান ১০ থেকে ২০ টাকা ফি দিয়ে দেখতে পাচ্ছেন।