গলাচিপায় অফিস সহকারীকে মারধর করায় বিচারের দাবিতে ছাত্র- ছাত্রীদের শ্রেনী কক্ষে তালা ও বিক্ষোভ

রাকিবুল ইসলাম, গলাচিপা, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম শিক্ষককে মারধর করায় বিচারের দাবীতে ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেনী কক্ষে তালা বদ্ধ করে বিক্ষোভ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরবিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম শিক্ষক মো. খোকন কাজীর ছেলে মো. রাসেল(৩০) কে মাগরিবের নামাজের আনুমানিক দশ মিনিট আগে বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ে ঢুকে মারধর করে। এতে তার চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার মূল নায়ক জাবেদ তার ছোট ভাই বেল্লালকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে যান। বিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাকে ভর্তি করতে রাজি হননি কারন হল বেল্লাল ইতিমধ্যে কয়েকটি চুরির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। ইদানিং হাঁস চুরি করে ধরা পড়ে। সেই সূত্র ধরে, জাবেদ তার দলবল এখলাস, জুয়েল সহ অজ্ঞাত কিছু যুবকদের নিয়ে অফিস সহকারী রাসেল এর উপর হামলা করে। ঘটনা ছাত্র- ছাত্রীরা শুনে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে নিজেদের উদ্যোগে তালা বদ্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। যতদিন পর্যন্ত দোষীদের বিচার না হবে ততদিন পর্যন্ত ক্লাশ বর্জন ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নেছার আহম্মেদ জানান, অফিস সহকারী মো. রাসেল এর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য গলাচিপা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। উক্ত বিষয়ে চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল মুন্সী বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ছাত্র- ছাত্রীদের শান্ত হয়ে ক্লাশে ফিরে যাওয়ার আহবান জানিয়েছি। তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি যে ৭ দিনের মধ্যে দোষীদের বিচার করা হবে না হয় আমিও আন্দোলন কারীদের সাথে আন্দোলনে নামবো। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা জানান, আমি ঘটনা শুনে শিক্ষকদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলেছি এবং এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার সংবাদকে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে মৌখিক জানিয়েছেন। কিন্তু লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দোষীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।