ক্যাম্পাস

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ঃ চিকিৎসা কেন্দ্রে নানা দুর্ভোগ

বিশেষ প্রতিনিধি : সব সৌন্দর্য ও সুখের মূল সুস্বাস্থ্য। চিন্তার উৎকর্ষতা বুদ্ধির বিকাশ সাধন সর্বোপরি দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুস্থতার নিশ্চয়তা প্রদানে চিকিৎসাসেবা তাদের মৌলিক অধিকার। দেশের উন্নয়নের সূচকের মধ্যে চিকিৎসা অন্যতম প্রধান বিষয় হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে সব নাগরিকের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা দুরূহ, তেমনি দেশের মানব গড়ার সুতিকাগার দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও তাদের সেবায় বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার বা রোগ নিরাময় কেন্দ্রের সেবারও রয়েছে যথেষ্ট অপ্রতুলতা। দেশের উচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম । সময়ের পরিক্রমায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ১০ বছর কেটে গেছে। বেড়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা। হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নতুন আবাসিক হল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বাসভবন, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন। তবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানেও আধুনিক ও চিকিৎসার সেবার মানের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্রটির। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য এ চিকিৎসা কেন্দ্রটির এখন নিজেরই চিকিৎসার প্রয়োজন। সময় মতো অ্যাম্বুলেন্সের অভাব, ডাক্তার সঙ্কট, ওষধের অপ্রতুলতা প্রভৃতি এ চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। ডাক্তারদের জন্য নেই যথাযথ বসার জায়গা। জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নেই আধুনিক যন্ত্রপাতি। । শিক্ষর্থীদের অভিযোগ বেশিরভাগ ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়, সরবরাহ করা হয় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও। ক্যাপসুল, ট্যাবলেট, ইনজেকশন, সিরাপ এন্টাসিডসহ মাত্র ১২-১৫ প্রকারের ওষুধ আছে এ মেডিকেল সেন্টারটিতে। সব শিক্ষার্থীই একমত এখানে ‘নাপা’ সব রোগের মহোষধ হিসেবে বিবেচিত এখানে। শিক্ষার্থীদের দাবি অন্ততপক্ষে জরুরি সময়ের জন্য হলেও কিছু ওষুধের ব্যবস্থা ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হোক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button