ঢাকাবিভাগীয় খবরসাহিত্য সংবাদসাহিত্য সাধনা

শুরু হলো মাসব্যাপী একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬

ভালুকা নিউজ ডট কম, বিভাগীয় প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠলো মাসব্যাপী একুশের বইমেলার। প্রতি বছরের মতো এবারও ১ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলার’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বইপ্রেমীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে দেশের নানাপ্রান্তের মানুষ এবং প্রবাসী বাঙালিদের বিপুল সমাগম ঘটে। এই মেলা এখন পরিণত হয়েছে বৃহত্তর বাঙালির মিলনমেলায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকার দিনগুলোতে বইমেলায় আসার আনন্দের কথা শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকায় নিয়েমের কড়াকড়িতে এখন আর সেই তরুণ দিনের মতো বইমেলায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয় না বলে আক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, “কবে আবার মুক্ত হতে পারব, ঘুরে বেড়াতে পারব।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশের গ্রন্থমেলা ঘিরে দেশি-বিদেশি লেখকদের আগমনে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। গ্রন্থমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত মাসব্যাপী সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সৃষ্টি করে নবতর চাঞ্চল্য।

শেখ হাসিনা বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেন এবং এ দেশের ধ্রুপদী ও সাম্প্রতিক সাহিত্যের নির্বাচিত সম্ভার বিশ্বপাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে তাগিদ দেন।

এ বছর চার লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুটের পরিসরে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। পরিসর বাড়ার পাশাপাশি মেলার সজা-সজ্জায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে শিশুকর্নার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকলেও এবার তা মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এবারও একাডেমির নজরুল মঞ্চে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা হয়েছে। মেলার দুই অংশেই ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই ৩০ শতাংশ কমিশনে এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গত বছর ৩৫১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল মেলায়, তবে এবার সাড়ে চারশ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেয়েছে। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮২টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩২০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমিসহ ১৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের থাকছে ১৫টি প্যাভিলিয়ন। এছাড়া রয়েছে ৯২টি লিটল ম্যাগাজিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button