জেনে নিন আয়াতুল কুরসির ফজিলত
পবিত্র কোরআনে বিশেষ বিশেষ কিছু আয়াত ও সুরা রয়েছে, যা খুবই ফজিলতপূর্ণ। এর মধ্যে আয়াতুল কুরসি অন্যতম। আয়াতুল কুরসির ফজিলত সম্পর্কে ইমাম আহমদ (র.) বর্ণনা করেন, একদিন উবাই ইবনে কা’বকে নবী করিম (সা.) জিজ্ঞাসা করেন, কোরানের মধ্যে কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? তিনি বলেন, আল্লাহ ও তার রাসুলই তা বেশি জানেন। হুজুর (সা.) আবার জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আয়াতুল কুরসি। এরপর হুজুর (সা.) বলেন, হে আবুল মানজার, তোমাকে এই উত্তম জ্ঞানের জন্য ধন্যবাদ। সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার আত্মা। এর একটি জিহ্বা ও দুটি ঠোঁট রয়েছে, যা দিয়ে সে আরশের অধিকারীর পবিত্রতা বর্ণনা করে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, সুরা বাকারার মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যে আয়াতটি পুরো কোরানের নেতাস্বরূপ। তা পড়ে ঘরে প্রবেশ করলে শয়তান বের হয়ে যায়। তা হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ অন্য একটি হাদিসে আবু ইমামা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তাকে মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু বেহেশতে যেতে বাধা দেয় না।
আয়াতুল কুরসির অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছে এমন যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তার জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমগ্র আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলো ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
আলী (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে, প্রতিবেশীর ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন।’ এ জন্য প্রত্যেকের উচিত আয়াতুল কুরসির আমল নিয়মিত করা।