নাসিরকে না খেলানোর জবাব চায় দেশবাসী ?

ভালুকা নিউজ ডট কম, স্পোর্টস রির্পোট: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে অলরাউন্ডার নাসিরকে একটা ম্যাচেও সুযোগ দেয়া হয়নি। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং কোচ ও অধিনায়কের এমন নেতিবাচক মনোভাবে ক্ষুব্ধ দেশের ক্রিকেটামোদী এবং বোদ্ধারা। তাদের প্রশ্ন, খেলানো না হলে তাকে দলে নিয়ে ভারত ভ্রমণ করানোর যুক্তি কী? তার পরিবর্তে কোন এক পক্ষের প্রিয়জন শুভাগত ও মিথুনকে বারবার সুযোগ দিয়ে কার স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে এর জবাব চায় দেশবাসী। বিশ্বকাপ থেকে মাশরাফি বাহিনী খালি হাতে ফেরায় আলোচনার মূল প্রসঙ্গ হয়ে উঠেছেন নাসির হোসেন।গতকাল দেশে ফেরার পর টাইগার অধিনায়ক মাশরাফির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্নটা ছিল, নাসিরকে বসিয়ে রেখে-একাদশ নির্বাচনটা আসলে কতটা যৌক্তিক ছিল? মাশরাফি বলেন, নাসিরের ব্যাপারটা.. এসব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটা এককভাবে হয় না। সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। শুভাগত গিয়েছে, আমরা শুভাগতকে খেলিয়েছি। এটা কম্বিনেশনের কারণেই হয়েছে। নাসির খেলতে পারতো, প্রকৃতপক্ষে সিদ্ধান্তটা যেভাবে হয়েছে, সে দিকেই আমাদের যেতে হয়েছে। যার সাদামাটা অর্থ একটাই- বিশেষ পক্ষের ইচ্ছাতেই দেশের সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েই এটা করা হয়েছে। তবে মাশরাফি যে ?নাসিরকেই চেয়েছিলেন তার কিছুটা অাঁচ পাওয়া যায় পরের প্রশ্নোত্তরে। আপনার নিজের কী মনে হয়েছে- ?নাসির খেললে ভালো হতো? মাশরাফি জানান, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি বলব নাসির অবশ্যই ভালো প্লেয়ার। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে আমি অনেক ব্যাকআপ করেছি। অবশ্যই আমি চাই নাসির বাংলাদেশ টিমে থাকুক…অনেক ইউসফুল প্লেয়ার নাসির। আমি চাই নাসির ওর খেলায় আরও উন্নতি করবে। নাসির বাংলাদেশ টিমে অনেক দিন খেলবে, আমি সেটাই চাই।’ অথচ মিথুন বা শুভাগত কোনভাবেই নাসিরের বিকল্প হতে পারে না। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে নাসিরকে একটা ম্যাচেও সুযোগ দেয়নি।টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাসির শুধু একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান, তাও বাছাইপর্বে। হিমাচলের ধর্মশালায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে শেষ দিকে নেমে ব্যাট হাতে ৩ রান করেন ও বল হাতে নেন এক উইকেট। তারপরও ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা অভিজ্ঞ নাসিরকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হবে-এটাও কারো কাম্য নয়। কারা এ কলকাঠির হোতা তা অবশ্যই জানা যাবে একদিন। ওয়েবসাইট।