স্বাস্থ্য চিকিৎসা

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা যা খেলে কমবে

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা যা খেলে কমবে

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আজকাল কম বেশি সকলেরই দেখা যায়। খাবারের সময়, খাবারের উপাদানই মোটামুটিভাবে এই সমস্যার জন্য দায়ী।

তাই একটু অনিয়ম করলে কম-বেশি সবাইকে ভুগতে হয় এ সমস্যায়। কেউ কেউ আবার বছরের বেশিরভাগ সময়ই এ সমস্যায় নিদারুণ কষ্ট ভোগ করে থাকেন।

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে এর প্রতিকারে আজকাল অনেক দামি ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে বিশেষ করে গরিব মানুষের পক্ষে তা সবসময় কেনা সম্ভব হয়না। অথচ একটু সচেতন হলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রাকৃতিক জিনিস আছে যেগুলো দিয়েই এর নিরাময় সম্ভব।

এবার অর্থসূচকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হলো এসিডিটির সমস্যায় করণীয় সম্পর্কে

আদা
আদা এমন একটি ভেষজ উপাদান যা আমাদের অনেক কাজে লাগে। প্রতিবার খাদ্য গ্রহণের আধা ঘণ্টা আগে ছোট এক টুকরো আদা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা চলে যাবে।

লং
লং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভালো কাজ দেয়। দুইটি লং মুখে নিয়ে চিবালে এর রসটা আপনার এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করবে।

তুলসী পাতা
হাজারো গুণে গুণান্বিত তুলসী পাতা। এসিডিটি দূর করতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ৫-৬ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে দেখবেন এসিডিটি কমে গেছে। এমনকি তুলসী পাতা প্রতিদিন ব্লেন্ড করে পানি দিয়ে খেলে তার এসিডিটি হওয়ার প্রবণতা একেবারেই কমে যাবে।

পুদিনা পাতা
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে পুদিনা পাতার রসও বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম দূর হয়।

জিরা
এক চা চামচ জিরা ভেজে নিয়ে একটু ভেঙ্গে নিন। এরপর এই গুড়াটি একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন, ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।

গুঁড়
গুঁড় বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে তৎক্ষণাৎ এক টুকরো গুঁড় মুখে নিয়ে সম্পূর্ণ গলে না যাওয়া পর্যন্ত রাখুন। তাতে ভালো ফল পাবেন। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ।

বোরহানী
টক দই, বীট লবণ ইত্যাদি নানা এসিড বিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরি হয় বোরহানী। তাই এটি হজমে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ভারি খাবারের পর একগ্লাস করে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।

দুধ
দুধও এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। কারণ দুধে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীর এসিড কমাতে সাহায্য করে। রাতে একগ্লাস দুধ ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে খালি পেটে খেলে সারাদিন এসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা যায়। তবে কারও পেট দুধের প্রতি অতিসংবেদনশীল হলে তাদের দুধ না খাওয়াই ভালো।

মাঠা
দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরি মাঠা একসময় আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় ছিল। সামান্য গোলমরিচের গুঁড়া যোগ করলে এসিডিটি দূর করতে এটি টনিকের মতো কাজ করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button