পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীসহ ১১ জন নিহত
শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপের নির্বাচনে অন্তত ১১ জন নিহত ও দেশের ৩৫ জেলায় ৩৯ গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ।
এদিকে ভোট গ্রহণের সময় ভোটারদের বাধা, জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে সারা দেশে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রিসাইডিং অফিসার, চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মেম্বার প্রার্থীসহ ১৭ জনকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষ ও অনিয়মের কারণে ১২০ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে কমিশন।নানা অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ৪৫ জন প্রার্থী।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে ৭১৭ ইউপিতে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩২৫৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ হাজারের বেশি ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭ হাজারের বেশি প্রার্থী রয়েছে।
ইতিমধ্যে ৪১ জন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ওই সব পদ বাদে বাকিগুলোতে নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ১৫টি দলের প্রার্থী রয়েছে। ২টিতে আওয়ামী লীগ ও ১০০টিতে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, প্রথম চার ধাপের মতোই পঞ্চম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কমপক্ষে ২০ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এবার আইনশৃংখলা বাহিনীকে সতর্কতামূলক অবস্থায় থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।