রিজার্ভ চুরি: ব্যাংক কর্মকর্তারাও জড়িত

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তারাও জড়িত আছে। সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের সময় তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘রিজার্ভ চুরিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আমরা আমাদের রিপোর্ট দিয়েছি, এখন সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সুইফট কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না। সুইফটের মাধ্যমেই কাজের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সরকার। এছাড়া তদন্তকমিটি প্রতিটি সদস্যই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।’
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সরকারের তরফ থেকে ফরাসউদ্দিনের ওপর তদন্তের দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয় গত ২০ মার্চ। তখন ৩০ দিনের মধ্যে অন্তবর্তীকালীন ও ৭৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। এরপর গত ২০ এপ্রিল অন্তবর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট খেকে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে নেয় দুর্বত্তরা। ওই টাকার ৮১ মিলিয়ন পাঠানো হয় ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাকাতি সিটির জুপিটার শাখায় ব্যবসায়ী কিম অংকের অ্যাকাউন্টে। সেখানে থেকে ওই টাকা চলে যায় জুয়ার বোর্ডসহ বিভিন্ন ব্যাবসায়ীর কাছে।
বাকী ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠানো হয় শ্রীলংকার একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন শাকিলা ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে। প্রাপক সংগঠনের নামের বানানে ভুল থাকায় টাকা পেমেন্ট আটকে দেয়া ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।