ঢাকাবিভাগীয় খবর

তিন কারণে ইনুর বিচার হওয়া উচিৎ: রিজভী

ভালুকা নিউজ ডট কম, ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর তিন কারণে বিচার হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি ইনুর কর্মকান্ডের সমালোচনা করে তাকে পঞ্চমবাহিনীর লোক আখ্যা দেন।

জাসদকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন রিজভী।

প্রথম কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তৎকালিন (৭২-৭৫ সালের কোনো এক সময়) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুর আলীর বাসভবন শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে ইনুর নেতৃত্বে জাসদের কিছূ লোক গুলি ছুড়ে। নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টাগুলি ছুড়লে অসংখ্য জাসদের নেতাকর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে ইনুর কারণে।

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে রিজভী বলেন, আমাদের দেশের সাবভৌমত্বের প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই বানিহীকে অস্থিতিশীল করতে লিফলেট ছড়ানো এবং নানাবিধ স্লোগান দিয়ে একটা ভয়ংকর ঘটনার সৃষ্টি করা হয়।

তৃতীয় কারণ হিসেবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনে আক্রমণ। এটি একটি মাষ্টারপ্ল্যানের অংশ ছিল ইনুর। অথচ আমাদের দেশে একটি কূটনৈতিক সংস্থার নিরাপত্তার দায়িত্ব হচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও দেশের জনগণের। সেখানে যদি দেশে একটি রাজনৈতিক দল কূটনীতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামালা করতে যায় তাহলে আগ্রাসনকে ত্বরান্বিত করা হয়।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যেটি বলেছেন এটা তাদের নেতাকর্মীদের মনের আকাঙ্খার প্রতিফলন। স্বাধীনতা উত্তর দেশে যে হত্যালীলা, ধ্বংসলীলা চলেছে এর জন্য জাসদের একটি অংশের ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইনুদের মত মানুষের কারণে যারা দেশেটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে তাদের কারণেই আরও বেশি রক্ত ঝরেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই যে হাসানুল হক ইনুকে আশ্রয় দান আমার মনে হয় তার পিতার (শেখ মুজিব) রক্তের সঙ্গে প্রতারণা করার সামিল।

তিনি বলেন, আমরা যদি ইনুর কর্মকান্ডগুলো (৭২-৭৫) বিশ্লেষণ করি তাহলে আজকে এই যে জঙ্গিবাদের উত্থান এর সংজ্ঞা ইনুর মধ্যেই খুঁজে পাবো। আজকে যে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ এসব ইনুর কর্মকাণ্ডেরই প্রতিধ্বনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button