বালুর ট্রাক ও ভারি যানবাহন চলাচলের কারনে ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য- ভালুকায় সিডষ্টোর-ঝালপাজা সড়ক ৪ ঘন্টা অবরোধ
ভালুকায় সিডষ্টোর-ঝালপাজা(শহীদ আবুবকর সড়ক)অবরোধ করেছে সিএনজি চালক ও ভোক্তভোগী এলাকাবাসী। রোববার (২৬জুন)সকাল ৯টা থেকে দুপুর২টা পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ী ও জনগন অবস্থান করে এ অবরোধ কর্মসুচি পালিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায় এই রোডে রাত-দিন বড় বালির ট্রাক,ড্রাম ট্রাক,লড়ি,মাটির লক্কর-জক্কর গাড়ী বিশেষ করে ভারিযান বাহন চলার কারনে সরু এ রাস্তাটি ভেঙ্গে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে জলাবদ্ধতায় চরম দুভোর্গের স্বীকার ওই সড়কে চলাচলকারী জনগন।চেচুয়া এলাকার ভোক্তভোগী খলিলুর রহমান(৬৫) জানান-এ সড়কে প্রতিদিন ঝালপাজা,জাহাঙ্গীরপুর,কাওরাইদ,গয়েশপুর,পাইলাব,পারুলদিয়া,রাজৈসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত জনগন চলাচল করেন।এসব গাড়ী চলাচল করে রাস্তা নষ্ট করায় যাতায়তকারীদের অসুবিধা হচ্ছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই রোডের সিএনজি চালক মো: সোহেল বলেন-বিশাল বড় গর্ত থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।ভয়ে যাত্রীরা সিএনজিতে উঠতে চায়না।এলাকায় নির্মিতব্য কিছু মিল-কারখানায় প্রতিদিন ভারি যান চলায় আমাদের রাস্তার বেহাল দশা।
ওই রোডের যাত্রী বাবুল(৫৫) জানান-বালু ,ইট ও মাটির এসব বড় সাইজের গাড়ী সাইড দিতে চায়না,এবং রাস্তা সরু হওয়ায় হেটে চলতে গেলে কাঁদায় জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। ওই সময় স্থানীয় আখি মডেল স্কুলে দুই ক্ষুদে শিক্ষার্থী জুতা হাতে নিয়ে পার হতে যেয়ে পিছলে পড়ে যায়।রাস্তা অবরোধের সময় ভালুকা আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের যুগ্ন সম্পাদক মো: শফিকুল ইসলাম খান শফিক,কৃষকলীগ নেতা কায়সার সরকার,ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হোসাইন খান শিমুল,সিএনজির শতাধীক চালক,এলাকাবাসী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন মোবাইলে জানান-বারবার বলা হলেও কে শোনে কার কথা।কোনকিছুতেই সমস্যার সমাধান হচ্ছেনা।তিনি কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বালু ব্যাবসায়ী মো: রমজান আলী বলেন-গাড়ীর মালিক আমি না।আমি কি বলবো।আমার বালুক গাড়ী কেউ আটকায়নি।বালু-মাটির ব্যাবসায়ী মো:মাহবুব আলম বলেন-আমার বালুর গাড়ী নাই এবং মাটির ট্রাক এখন বন্ধ।মাটির ব্যাবসায়ী নুরুদ্দিনকে মাটি কাটার যন্ত্র নিয়ে যাওয়ার পথে অবরোধকারীরা আটকে দেয়।ভালুকা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.কামরুল আহসান তালুকদার এ বিষয়ে বলেন-স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের দায়ীত্ব আছে, অথচ আমাকে কেউ জানায়নি।অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
অবরোধ চলাকালে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।এতে চরম দুভোর্গে পড়ে যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন।