জাতীয়

জিম্মি উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু

সেনাবাহিনীর কমান্ডো টিম আসার পরপরই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হওয়া বিদেশীসহ প্রায় ৩০ জনকে উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে এ অভিযান শুরু হয়।

র‌্যাব,পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীর বিশেষ দল নিয়ে এ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। ঘটনাস্থল থেকে থেমে থেমে গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ শোনা যাচ্ছে।

অভিযান শুরুর পর সকাল ৮টা ১০ মিনিটে সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। সোয়া আটটার দিকে ৫টি এ্যাম্বুলেন্সে আর্টিসান রেস্টুরেন্টের দিকে যেতে দেখা যায়।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সোয়াতের একটি দল একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে ওই রেস্তোরাঁ দিকে এগোতে থাকে। এরপর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা কয়েকদিক থেকে অভিযান শুরু করে।

শুক্রবার ভোররাত থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি নেন। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আশপাশের এলাকা থেকে সংবাদকর্মীদের পুলিশ নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়।

শনিবার সকাল ৬টার দিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি সেখানে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সকাল সাতটায় সাতটি সাঁজোয়া যাসহ সেনাবাহিনীর একটি দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়।

এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বরের আর্টিসান রেস্তোরাঁয় ৮ থেকে ১০ জন যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। তারা সেখানকার লোকজনকে জিম্মি করে। জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৩০-৩৫ জন আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় গুলি ও বোমায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন নিহত হন।

ইউনাইটেড হাসপাতালে ৩৬ জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর-পরিবর্তন

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button