কবিতাসাহিত্য সাধনা

আবুল বাশার শেখ এর তিনটি কবিতা

না বলে

না বলে যদি চলেই যাবে
তবে কেন ভালবেসে ছিলে?
হৃদয় ভাঙ্গা সুর বড় কষ্টের
আলো নয় অন্ধকার দিলে।
হৃদয়িক ভালবাসা কাছে আসা
সবই ছিল যে অভিনয়,
নষ্টামির কষ্টগুলো এলোমেলো
কিছু সত্য কিছু মিথ্যে হয়।
জীবন সাজানো স্বপ্ন রাঙা ভোর
আসবেনা বুঝি এ জীবনে,
আশা নয় বিশ্বাস পাব তোমাকে
মরণের অন্য এক ভূবনে।
সে দিন পালিয়ে তুমি যাবে কই
দু’জন দু’জনাতে শুধু মিশে রই।

তাং- ২৯/ ০৭/ ২০১৬ইং।

metsys_1281337321_1-jan

থু

বৃক্ষ রোপনের অন্তরালে পথে কাটা
মানুষ দাবি কর! দাবি কর সমাজপতি!
থু দিই ঐ সমাজপতির গালে।
লজ্জা করে বেহায়া সমাজ;
তোমার চেহারা দেখলেই লজ্জা করে।
মুখোশের অন্তরালের হায়েনাগুলো উন্মাদ,
উন্মাদ কুলাঙ্গার বংশধর।
চাটুকার ক্ষমতালোভী শোষনের হাতিয়ার ভাঙ্গবে
অবশ্যই ভাঙ্গবে, জোর গলায় বলছি ভাঙ্গবে।
অপেক্ষার শেষ ঘন্টা সন্নিকটে,
উল্লাসিত হায়েনার পতন আসন্ন।

তাং- ২০/ ০৭/ ২০১৬ইং।

Suronjona_1287418158_9-3136789591_f99bba4283

গন্ধরাজ অপরাধী কবি

কবি
দাঁড়াও, একটু কথা আছে;
মনোমুগ্ধ ঘ্রাণ নিয়ে যাও,
ভয় পেয়োনা, পয়সা লাগবে না;
জীবনের স্থীতিই বা কতটুকু
না হয় সবটুকুই বিলিয়ে দিলেম।
কবি থমকে দাঁড়ায়
মাথা নিচু করে ধ্যানমগ্ন
স্বস্তির নিঃশ্বাস আবেগ তাড়িত।
কবি গন্ধরাজের কথা বলে
যৌবনে মাতাল তরুনী নরম হাতে
গন্ধরাজের গায়ে হাত বুলিয়ে দেয়
ছলনায় ছিড়ে নেয় একটি পাঁপড়ি।
গন্ধরাজ কাঁদতে চেয়েও কাঁদে না; কেননা
সে তো বলেছিল জীবনের স্থীতির সবটুকুই
বিলিয়ে দেবে, এখান থেকেই না হয় শুরু হলো।
কবি নিজেকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করায়,
হায়রে মানুষ, হায়রে রমনী!

তাং- ৩০/ ০৬/ ২০১৬ইং।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button