দুর্নীতি প্রতিরোধে সাফল্য লাভ করেছে দুদক: টিআইবি

ভালুকা নিউজ ডট কম; ঢাকা: প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আইনি স্বাধীনতা ভোগ করায় ও দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক সক্ষমতার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশের দুর্নীতি দমনে ইতিবাচক সক্ষমতা ও সাফল্য লাভ করেছে।
বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর পর্যালোচনা- শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবি’র গবেষণায় বলা হয়, আইনি স্বাধীনতা ও মর্যাদা (আইনি ক্ষমতা, কাজের আওতা); বাজেটের নিশ্চয়তা (প্রতিবছর ধারাবাহিক বৃদ্ধি); কর্মীদের স্থিতিশীলতা (চাকরি ত্যাগের নিম্নহার); অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের সদিচ্ছা (অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাড়া দেওয়া, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তের সদিচ্ছা ও সক্ষমতা, মামলার উচ্চ সংখ্যা); দুর্নীতি প্রতিরোধের উদ্যোগ (প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনা, প্রতিরোধ কার্যক্রমে অংশীজনদের যুক্ত করা); অন্যান্য অংশীজনের সাথে যৌথ উদ্যোগ (নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সহযোগী); আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে দুদকের ইতিবাচক সক্ষমতা ও সাফল্য রয়েছে।
এসময় অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘অনেক সফলতার পরও মানুষের মাঝে দুদকের আস্থা তৈরি করতে না পারাটা দুঃখজনক। মানুষের মাঝে এই আস্থা তৈরি করতে হবে যে, দুদক আছে, তাই দুর্নীতি হবে না।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গবেষণায় প্রতিফলিত ফলাফল অনুযায়ী দুদকের কার্যক্রম আশাব্যঞ্জক হলেও দুদকের বিদ্যমান দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে আরো কাজ করতে হবে। এমন কোন আইন প্রণয়ন করা যাবে না যাতে দুদকের বিদ্যমান স্বাধীনতা খর্ব হয়। পাশাপাশি দুদকের স্বাধীনতা সীমিত এমন ক্ষেত্রে আইন প্রণয়ন করে অধিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
গবেষণা প্রতিবেদনে দুদকের নানা দুর্বলতা কাটিয়ে দুর্নীতি দমনে সংস্থার কার্যকরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১১ দফা সুপারিশ উত্থাপন করেছে টিআইবি। এগুলো হলো, দুদকের বাজেট বৃদ্ধি, সাংগঠনিক কাঠামো ও জনবল বৃদ্ধির বিষয়ে পুনর্বিবেচনা; চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়ানো; অভিযোগ দাখিল ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো; দুর্নীতির মামলায় শাস্তির হার বাড়াতে ব্যবস্থা গ্রহণ (যেমন- তদন্ত ও মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে ঝুঁকি চিহ্নিত করা, মামলা দায়েরের পূর্বে প্রয়োজনবোধে আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করা, প্যানেলভুক্ত আইনজীবীদের সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রক্ষা ও তদারকি করা); সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ; দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নত ওয়েবসাইট চালু করা, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানো; জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী স্বাধীন তদারকি ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের আস্থা বৃদ্ধি করা।