জাতীয়

আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার : মির্জা ফখরুল

ঢাকা: জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক বাতিলের যে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা যে কত বড় সংকীর্ণতা যখন বুঝবে তখন আওয়ামী লীগ আর শোধরানোর সুযোগ পাবে না।

ফখরুল বলেন,  দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জাতিকে বিভাজনের রাজনীতি থেকে একত্রিতও করেছিলেন তিনি। তবে যে সরকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তা কতটা নোংরা যখন তারা বুঝবে তখন আর শোধরানোর সুযোগ থাকবে না।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহামান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা করেছিলেন। জাতিকে বিভাজনের রাজনীতি থেকে একত্রিতও করেছিলেন তিনি। তাই তার বিরুদ্ধে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা হবে ভয়ঙ্কর।’

সরকার দেশের রাজনীতিতে বিভাজন সৃষ্টি করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছেন। এ জন্যই মূলত স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার তাকে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সর্বোচ্চ যে খেতাব,  সেই ‘বীরোত্তম’ খেতাবে ভূষিত করে।’

অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যারা গায়ের জোরে নোংরাভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কীর্তি মুছতে চাচ্ছেন, তারাই একদিন মুছে যেতে পারেন। কারণ এই স্বাধীনতা পদক প্রবর্তন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এখন তিনি বাদ যাবেন, তার সম্মান থাকবে না, কিন্তু তার কীর্তি থাকবে।’

‘২০০৩ সালে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক হিসেবে স্বাধীনতা পদক দেয়। এটা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরম ঔদার্য্যের দৃষ্টান্ত’ বলেন মির্জা ফখরুল।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মোটামুটি জেনেছি মন্ত্রিসভা কমিটিতে এমনই (বাতিল হচ্ছে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক) সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের এ ধরনের সিদ্ধান্তে গোটা জাতি বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন ও যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার তার অবদানের জন্য তাকে বীরউত্তম খেতাব দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষও জিয়াউর রহমানকে তখন থেকেই চেনেন।’

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী শনিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা এলেই কেবল তা ইতিবাচক হবে। সুন্দরবনের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র না করার বিষয়টি থাকলে জনগণ ইতিবাচকভাবে বক্তব্য গ্রহণ করবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button