নারী ও শিশু

মূক-বধির শিশুর মুখেও ভাষা!

ভালুকা নিউজ ডট কম, ডেস্ক: মানুষ দু’ভাবে শেখে। দেখে আর শুনে। তারপর বুঝে নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। এই শেখার শুরু একেবারে ভূমিষ্ঠ হবার সময় থেকেই। কোনও কারণে শুনতে সমস্যা হলে বাচ্চারা কথা বলতে পারে না। জন্মের সময় থেকেই অনেকের শোনার সমস্যা থাকে। গ্রামেগঞ্জে তো বটেই, শহরের অনেক মানুষও এই ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন। বধিরতার সমস্যার সঠিক সমাধানের পাশাপাশি মৌন মুখে ভাষা দিতে উদ্যোগী হয়েছেন অভোরু হেলথ অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সম্প্রতি অভোরুর উদ্যোগে এগ্রিহর্টিকালচার সোসাইটি ও অবন মহলে দু’দিনব্যাপী স্পিক ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল নামে এক অভিনব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অভোরু হেলথ অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনএর স্পিচ ও হিয়ারিং ডিভিশনের প্রধান ডা সুপর্ন দাস জানালেন যে দেড় বছর থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের শোনার সমস্যা ও কথা বলার অসুবিধে নির্নয় করতে অভোরুর তরফে একটা স্ক্রিনিং শুরু করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার রিহ্যাব স্কুল সহ সাধারণ স্কুলে একটি প্রশ্ন পাঠানো হচ্ছে। শিশুদের কোনও সমস্যা থাকলে সংস্থার অডিওলজিস্ট ও স্পিচ থেরাপিস্টরা তা জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। চিকিৎসা ও পূনর্বাসন দেওয়া হবে নায্যমূল্যে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ডা দাস জানালেন যে অন্যান্য অসুখের মতোই যত তাড়াতাড়ি শিশুর সমস্যা নির্ণয় করা যাবে তত তাড়াতাড়ি বাচ্চারা কথা বলতে শিখবে। কানে শোনার সমস্যা খুব বেশি হলে প্রয়োজনে ককলিয়ার প্রতিস্থাপনের সাহায্যে শিশুর শ্রবন শক্তি ফিরিয়ে আনা যায়। আর অল্প বিস্তর অসুবিধে থাকলে হিয়ারিং এডের সাহায্য নেওয়া হয়। তবে হিয়ারিং এড সম্পর্কে এখনও স্বচ্ছ ধারণা নেই। আর এই কারণেই চট করে মানুষ হিয়ারিং এড নিতে চান না। এতে কিন্তু আখেরে ক্ষতি হয় বাচ্চা বড় সকলেরই। চোখের পাওয়ার ঠিক না থাকলে চশমা নেওয়া যেমন স্বাভাবিক ঘটনা, হিয়ারিং এডও যে সেই রকম একটা সহায়ক যন্ত্র এই ব্যাপারটা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাটাও অভোরু হেলথ অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন এর দায়িত্ব বললেন সংস্থার অধিকর্তা প্রসুন চট্টোপাধ্যায়। স্পিক ইন্ডিয়ার পাশাপাশি শিশু বিকাশ নামে আর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে অভোরু হেলথ অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের তরফে, জানালেন স্পিচ প্যাথলজিস্ট মহঃ সহিদুল আরেফিন। প্রথম পর্যায়ে ৫০০ শিশুর শ্রবণ সমস্যাকে চিহ্নিত করে তাদের সঠিক চিকিৎসা ও পূনর্বাসন দেবার পরিকল্পনা আছে অভোরু হেলথ অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের, জানালেন প্রসুন চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করেন গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের যাদবেন্দ্রনাথ মহারাজ। বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা কাঞ্চন গাবা, ডা মৃণাল চট্টোপাধ্যায়, অনূপ নারাং প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button