শিগগির উৎপাদনে যাচ্ছে ঘোড়াশাল ও পলাশ সারকারখানা
নরসিংদী প্রতিনিধি: দীর্ঘ ছয় মাস পর নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত বৃস্পতিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে কারখানা দুটিতে গ্যাস সংযোগ পুনঃস্থাপন করেছে তিতাস গ্যাস।
গ্যাস সংযোগ পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কারখানা দুটির বিভিন্ন যান্ত্রিক বিভাগ চালু করতে শুরু করেছে। কোনো ধরনের যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা না গেলে চলতি সপ্তাহে সার উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
সেচব্যবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘোড়াশাল, পলাশসহ কয়েকটি সারকারখানার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয় পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ।
ঘোড়াশাল ইউরিয়া সরকারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মতিউর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষেরই মৌখিক নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে গ্যাস সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়। এরপর থেকে কারখানার বিভিন্ন অংশ এক এক করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কারখানার উৎপাদনের মূল প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইউরিয়া উৎপাদন আসতে দিন পাঁচেক লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের বৃহত্তম ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানায় ১৪২২ মেট্রিক টন এবং পলাশে ৩০০ মেট্রিক টন উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন। সরকারি গত ৩১ মার্চ থেকে কারখানা দুটি বন্ধ হয়ে যায়। গত ২২ সেপ্টেম্বর বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ কারখানা দুটি চালু করার তারিখ নির্ধারণ করেও পরে তা স্থগিত করে।
ছয় মাস ধরে কারখানা দুটি বন্ধ থাকায় বেসরকারি হিসাবমতে দেশে তিন লাখ ৬৩ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য সরকারকে বিদেশ থেকে সমপরিমাণ সার আমদানি করতে হয়েছে বাড়তি মূল্যে। এতে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ১ হাজার ২৮৮ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কারখানা চালু হওয়ার পর উৎপাদন শতভাগ অর্জিত না হলে এ ঘাটতির পরিমাণ আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে।