ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে করণীয়

ভালুকা নিউজ ডট কম; ডেস্ক: Pancreas gland এর কর্মক্ষমতা পুনরূদ্ধারে Naturopathy Treatment-এর অভূতপূর্ব ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক চিকিৎসা সমূহ হলো –
-Diabetes friendly fruits fasting,- Enema- Sitz bath- Dry friction- Hot Epsom salts bath- Chromotherapy
– Nourishment therapy- Specific Yoga for Diabetes
ডায়াবেটিস কোন একক রোগ নয়। এটি এমন এক শারীরিক জটিলতা যা ধীরে ধীরে শরীরের সব মৌলিক অঙ্গের কার্যকারিতা নষ্ট করতে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে জীবন বিপন্ন হয়ে উঠে। আমরা যা খাই সবই খাদ্য, কিন্তু যে খাদ্য রোগ সারায় তা পথ্য। পথ্য নির্বাচন, গ্রহণ আর প্রকৃতির অংশ হিসেবে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করে জীবনযাপনই সুস্থ্যতার অন্যতম চাবিকাঠি।
অতিরিক্ত চিনির উপস্থিতির ফলে রক্তের স্বাভাবিক গতিবিধি ব্যহত হয়ে blood vessels এ রক্ত জমাট বাঁধে, artery তে fat জমাট বেঁধে নানাবিধ জটিল শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে।
ডায়াবেটিস এর জটিলতা সমূহঃ
1. Neuropathy (স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা)
2. Retinopathy (দৃষ্টিজনিত সমস্যা)
3. Nephropathy (কিডনী রোগ)
4. Myocardial Infarction (হৃদরোগ)
এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক সময় Hypoglycemia -র ফলে অজ্ঞান হয়ে যায়। যা অতিরিক্ত ইনসুলিন এর মাত্রা বা অপর্যাপ্ত আহার এর ফলে ঘটে থাকে। এই অবস্থা রোগীর জন্য বিপদজনক।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে করণীয়ঃডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। ঔষধ সেবন নয় বরং সুষম আহার এবং সুশৃঙ্খল শারীরিক ও মানসিক জীবনাচরণই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি।
১. খাদ্যাভ্যাসঃ
– Carbohydrate বা শর্করা জাতীয় খাবার (ভাত, আলু,মিষ্টি আলু, মিষ্টি ফল, আটার তৈরি খাবার) পরিমাণ মতো খেতে হবে।
– Fat বা চর্বি জাতীয় খাবার (ঘি,মাখন,ডালডা,মাংস,ডিমের কুসুম) যথাসম্ভব কম খেতে হবে।
– শাকসব্জী, টক জাতীয় ফল পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।
– ডাল খেতে হবে তবে কিডনীর সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ ও ধরণ মেনে খেতে হবে।
– নিয়মিত মেথি, করলা, ঢেড়স, তেলাকুচা পাতা, থানকুনি পাতা ইত্যাদি প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান খেতে হবে।
যাদের শরীর পিত্ত ভাবাপন্ন তারা গরমে মেথি খাবেন না, যাদের শরীর কফ ভাবাপন্ন তারা রান্না করা ঢেড়স দুপুরে খাবেন।
২. জীবনাচরণঃ
– অতিরিক্ত শারীরিক ওজন কমানো।
– নিয়মিত ১ ঘন্টা হাঁটা। হাঁটার সময় অবশ্যই ডায়াবেটিস জুতা ব্যবহার করা।
– সপ্তাহে ৩ দিন Yoga ও Meditation করা।
– পা যুগল সব সময় পরিষ্কার, শুকনো এবং গরম রাখা। কারণ ডায়াবেটিস রোগীরা Foot gangrene এ আক্রান্ত হয়ে থাকেন হামেশাই। এতে পায়ের কোথাও কেটে গেলে তা সহজে শুকায় না এবং ধীরে ধীরে পচন ধরতে থাকে। ফলে পা কেটে ফেলতে হয় আবার কখনো কখনো মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠে।
– মোজা প্রতিদিন পরিবর্তন করা।
– ক্ষীপ্র মেজাজ, উচ্চস্বরে কথা বলা পরিহার করা।
– নিয়মিত Urine, Sugar,Protein level পরিমাপ করা।
DIABETES MELLITUS/ ডায়াবেটিস মেলাইটাস
ডায়াবেটিস মেলাইটাস মূলতঃ metabolic syndrome (বিপাক ক্রিয়াজনিত সমস্যা)। এর ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো-
1. Polyuria (renal disorder)
2. Polyphagia (Abnormal hunger)
3. Polydipsia (Excessive thirst)
4. Hyperglycemia (Abnormally high blood sugar)
5. Glycosuria (Abnormally high levels of sugar in the urine)
6. Decrease of sex power
Carbohydrate, Protein, Fat, Electrolytes এর দ্বারা শক্তি সঞ্চয়ের মাধ্যমে শরীর পরিচালিত হয়ে থাকে। শরীরে এসব উপাদানের metabolism (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুতে রূপান্তর) ইনসুলিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। Insulin hormone নিঃসৃত হয় Pancreas Organ এর Beta cell থেকে। মানবদেহের Pancreas পাকস্থলীর নীচে অবস্থিত, দেখতে লম্বাটে আম পাতার মতো।
Pancreas এর Beta cell যখন ইনসুলিন নিঃসরণে অক্ষম হয়ে পড়ে বা প্রয়োজনের চেয়ে কম ইনসুলিন তৈরি করে অথবা নিঃসৃত ইনসুলিন যখন body cell এ glucose প্রবেশ করাতে পারে না, তখন body cell glucose এর অভাবে শক্তিহীন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, glucose তখন cell এর বাইরে রক্তে জমতে থাকে। এই অবস্থাকেই ডায়াবেটিস মেলাইটাস বলা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস মেলাইটাস মূলতঃ তিন প্রকার:
1. Type1 Diabetes mellitus:
Type1 diabetes mellitus একটি Genetic disorder (Auto immune disease) যেখানে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immune system) ভ্রান্ত হয়ে Pancreas এর Beta cell damage করে Insulin উৎপাদন ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলে।
Type 1 ডায়াবেটিস মেলাইটাসকে Juvenile Type Diabetes বলা হয়। কারণ এতে শিশু এবং ৩০ এর নীচে বয়সসীমার মানুষেরা আক্রান্ত হয়ে থাকে।
লক্ষণঃ
– পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
– এই রোগীরা রোগাটে হয়ে থাকে।- হঠাৎ করে প্রকাশিত হয়, এবং দ্রুততর সময়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটিয়ে মৃত্যু ঘটায়।এই রোগিরা যতদিন বাঁচে ততদিন তাদের ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয়। এজন্য একে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা IDDM বলা হয়। এই ধরনের ডায়াবেটিসে Obesity ঝুঁকির কারণ হয় না।
2. Type 2 Diabetes Mellitus: Pancreas এর Beta Cell যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম Insulin তৈরি করে বা Body Cell যখন Insulin এর সাথে contact করে না তখন Insulin প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়ে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায়।
Type 2 Diabetes Mellitus- এ সাধারণত বয়স্করা আক্রান্ত হয়।
লক্ষণঃ
– এই রোগীরা সাধারণত স্থুল হয়।
– মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
– ধীরে ধীরে শারীরিক সমস্যার প্রকাশ ঘটিয়ে কর্ম অক্ষমতা বা পঙ্গুত্বের কারণ হয়।
– দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটিয়ে মৃত্যু ঘটায়।
কারণঃ
– স্থুলতা- অত্যধিক মানসিক চাপ- মেনোপজ- এলকোহলিজম (Alcoholism)- পর্যাপ্ত শারীরিক সঞ্চালনের ঘাটতি – অত্যধিক শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ।
3. Gestational Diabetes: এই ধরনের ডায়াবেটিস Pregnancy-র সময়ে প্রথম ধরা পড়ে। এতে Placenta (Part of Ovary) থেকে অতিরিক্ত Lactogen নিঃসৃত হয় যা ইনসুলিনের বিপরীতে কাজ করে। ডেলিভারীর সময় এই ডায়বেটিস ঠিক হয়ে যেতে পারে আবার নাও পারে।ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়েদের বাচ্চা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে জন্মায়, পরবর্তী জীবনে এ ধরনের শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।এছাড়াও Corticosteroid, Thiazide diuretics, Phenytoin, Oral contraceptives জাতীয় ঔষধ দীর্ঘদিন সেবনের ফলেও ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।
Oindrila Akter (MSS, BNYS)Naturopath & Food Consultant
[email protected]