অপরাধ অনুসন্ধান

মানুষ ঠকানোর ফন্দি এটেছে তিয়ানসি!

ডেস্ক রিপোর্ট: সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ থাকার পর ও থেমে নেই এম এল এম কোম্পানীর প্রতারণার ব্যবসা। ধরা পড়ে একের পর এক নাম বদল করে অব্যাহত রেখেছে তাদের মানুষ ঠকানোর কার্যক্রম। সরকার এমএলএম-এর নামে প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও কোম্পানীগুলো আদালতে গিয়ে রিট করে রায় স্থগিতের আদেশ পেয়ে আবারও চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মকান্ড। ।তারা শহরের পরিচিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইফতার পার্টি, চা চক্রসহ নানা অনুষ্ঠানের আড়ালে মানুষের মস্তিষ্ক ধোলাইয়ে ব্যস্ত রয়েছে। অন্য কোম্পানীগুলোর চেয়ে ভাল বলে বেশি কমিশন পাওয়ার লোভ দেখাচ্ছে। তারা তাদের টার্গেট হিসাবে শহরের অসৎ এ্যালোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদেরকে বেছে নিয়ে তাদের সাথে কমিশনের ভিত্তিতে এই প্রতারণার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ঠকছেন সাধারণ মানুষ। আর তাতে পটেও যাচ্ছেন হুজুগে মাতাল লোভী ব্যক্তিরা। এছাড়া তিয়ানশি আরেক হায় হায় কোম্পানীও মানুষকে সিক্স স্টার, সেভেন স্টার, এইট স্টার বানানোসহ বিদেশ ভ্রমন, বিলাস বহুল গাড়ী, ফ্লাট, মাসিক লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জনের লোভ দেখিয়ে তাদের বিভিন্ন পণ্য কমিশন ভিত্তিতে চড়া দামে বাজারজাত করছে।তার তাদের অফিসে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার বসিয়ে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে তার পণ্য চড়া দামে বিক্রি করছে। কথিত আছে তাদের পণ্য কোন ঔষধ নয়, সম্পূরক খাবার মাত্র। cheating-7 অথচ তারা চিকিৎসার নামে অসহায় রোগীদের হাতে এই সব পন্য ঔষধ হিসেবে ধরিয়ে দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অনেক সময় নিজেরাও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বনে যাচ্ছেন। সারা বিশ্বের বড় বড় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যখন ক্যান্সার রোগের নিরাময়ের উপায় খুঁজতে ব্যস্ত। তখন এই সব এমএলএম কোম্পানীগুলো ক্যান্সার চিকিৎসার নানা পণ্য বাজারে নিয়ে ক্যান্সার রোগীদের দূর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে। তিয়ানশি কোম্পানীর এক সদস্য জনৈক আব্দুর রহমানের সাথে আলাপকালে, তিয়ানশি একটি চায়না কোম্পানী বলে তিনি দাবী করেন। ঔষধ পত্রের গুনাগুন দেখে তিনি মহিত হয়ে গেছেন বলে জানান। কিন্তু অতিরিক্ত মুল্য হওয়ায় ওই কোম্পানীর কোন পণ্য আমার কেনার সাধ্য নেই। খয়েরতলায় অবস্থিত তিয়ানশির অফিসের তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহর সাথে তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনের ০১৯১২৭৪১৪৯২ নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিয়ানশি’র পণ্য ব্যবহারকারী জনৈক ব্যক্তি জানান, ‘ওরে কেয়ার’ টুথ পেস্ট, হৃদরোগ, যৌন রোগের মেডিসিনসহ প্রায় ৫০টি পণ্য চড়া মূল্যে কমিশন ভিত্তিতে লোক নিয়োগ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছে। আর এগুলো ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা। তিনি নিজেও ১৩৫ গ্রামের একটি টুথ পেস্ট তিনশ’ টাকা বিক্রি করছে। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও কয়েকগুন বেশি। অনেকেই কোম্পানির এ প্রতারণার শিকার।তাই অনেকেই ওই প্রতারণারমূলক কোম্পানির সদস্যপদ বাতিল করে নিজ নিজ ব্যবসা শুরু করেছেন। সারকারের কাছে অকুল আবেদন তিয়ানশি প্রতারক থেকে আমরা মুক্তি চাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button