অর্থনীতি

বেড়েই চলেছে চালের দাম

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আর গুটি, স্বর্ণা, পারিজাসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে। ফলে, চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে দাম বেড়েছে। কিছু ব্যবসায়ী চাল মজুদ করে বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। আর এতে করে সিন্ডিকেটের কাছে চলে যাচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।

রাজধানীর চালের খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪১ টাকা, পারিজা ও বিরি-আটাশ ৪০ থেকে ৪২, ঊনত্রিশ ও আটাশ ৪২ থেকে ৪৩, মিনিকেট ৫০ থেকে ৫২, নাজিরশাইল ৫৩ থেকে ৫৫ এবং বাসমতী ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর যাঁরা পোলাওয়ের চাল নিতে চান, তাঁদের প্রতি কেজিতে গুনতে হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা।

রাজধানীর চালের পাইকারি বাজার বাবুবাজারে স্বর্ণা ও পারিজা বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) এক হাজার ৮০০ টাকা, ঊনত্রিশ ও আটাশ বস্তাপ্রতি এক হাজার ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি দামের পার্থক্য ঊনত্রিশ ও আটাশ চার টাকা আর স্বর্ণা ও পারিজা পাঁচ টাকা।

শান্তিনগর বাজারের চাল ব্যবসায়ী তারেক বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকে আমাদের চার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে হয়। কারণ, কেরিং খরচ, দোকান ভাড়া এবং কর্মচারীদের বেতন হিসাব করলে আমাদের তেমন একটা থাকে না। এর মধ্যেই আমাদের ব্যবসা করতে হয়।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী বলেন, ‘দেশে চালের দাম বাড়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মিল এলাকায় কোনো ধরনের চালের দাম বাড়েনি; বরং প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা কমেছে।’ খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজিতে চার থেকে সাত টাকা বেশি দরে ক্রেতার কাছে বিক্রি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সিন্ডিকেটে ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে যখন চালের বাজার অস্থির, তখন তাদের পক্ষেই সাফাই গাইলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button